Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার কর্মচারী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

নিউমার্কেট ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের দুই কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা রমনা বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- বাবু হোসেন ও কাউসার হোসেন। গত সোমবার রাতে হাজারীবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার তাদেরকে নিউমার্কেট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ডিবি। এর আগে গত ৫ তারিখে ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী মেহেদী হাসান বাপ্পী ও মোয়াজ্জেম হোসেন সজীবকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

ডিবি বলছে, যে দুই খাবারের দোকান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়, তার একটি ক্যাপিটাল ফাস্টফুড অন্যটি ওয়েলকাম ফাস্টফুড। ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী মেহেদী হাসান বাপ্পী এবং ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের কর্মচারী বাবু হোসেনের দ্বন্দ্ব থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। এ দুই কর্মচারী ইফতার সামগ্রী বিক্রি করতে টেবিল বসানো নিয়ে প্রথমে হাতাহাতিতে জড়ায়। এরপর মারামারি। পরে প্রতিশোধ নিতে ও শক্তি প্রদর্শন করতে শিক্ষার্থীদের ডেকে আনে বাপ্পী। দুই কর্মচারীর কারণেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ডিবি রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক বলেন, সোমবার রাতে হাজারীবাগ থেকে বাবু ও কাউসারকে গ্রেফতার করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে তাদের নিউমার্কেট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
নিউমার্কেট থানার ওসি স.ম কাইয়ুম বলেন, আমরা এখনও দুজনকে বুঝে পাইনি। ডিবি আমাদের কাছে হস্তান্তর করেনি। দুই আসামিকে বুঝে পাওয়ার পর কোর্টে প্রেরণ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনের রিমান্ড আবেদনও করা হতে পারে।
বাবু ও কাউসারকে গ্রেফতারের পর ডিবি কার্যালয়ে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা ডিবির এক কর্মকর্তা জানান, ঘটনার দিন ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী বাপ্পী ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের বাবুর কপালে কলম দিয়ে আঘাত করে। এতে সবাই মিলে বাপ্পীকে মারে। মার খেয়ে বাপ্পী তার দোকানে ফিরে যায়। বিষয়টি ঢাকা কলেজে পড়ুয়া তার পরিচিতজনদের জানায় এবং তাদের আসতে বলে। কিছুক্ষণ পর বাপ্পীর ডাকে কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে বাবুসহ অন্যান্য স্টাফদের মারধর করে। তখন বাবুর দোকানের ও আশপাশের দোকানের কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে মারধরের বিষয়টি জানালে সংঘর্ষ বাধে।
গত ১৮ এপ্রিল রাত থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ পরদিন দিনভরও চলে। এ ঘটনায় নাহিদ ও মোরসালিন নামের দুই ব্যক্তি নিহত হন। নিহতের দুই পরিবার, পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাম্বুলেন্স মালিকসহ মোট ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ১ হাজার ৭২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে নাহিদ হত্যা মামলায় ছয় শিক্ষার্থী এবং সংঘর্ষ সূত্রপাতকারী হিসেবে দুই দোকানের চার কর্মচারীকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ