পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা মিডিয়াগুলির ভূমিকা অকল্পনীয়। যদিও তাদের নেতাগণ ইউক্রেনকে একাই রাশিয়ার মুখে ছেড়ে দিয়েছে, তবুও মিডিয়াগুলো রাশিয়ার আগ্রাসনের ভয়াবহতা ঘণ্টায় ঘণ্টায় তুলে ধরছে। বিশ্বমিডিয়া তাদের থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে মানবতার সাহায্যে ত্রাণ সংগ্রহসহ সকল প্রকার সহযোগিতার সর্বোচ্চ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সমগ্র বিশ্ব তাদের আর্তনাদ দেখছে এবং চোখের অশ্রæ ঝরাচ্ছে। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ১৩ বছরের এক ফিলিস্তিনি শিশুকে গুলি করে হত্যা করে ইজরাইলি সেনারা এবং একইদিনে পূর্ব জেরুজালেমে মনোয়ারা বোরকান নামক ১১ বছরের বোবা মেয়ের মুখে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে মারে ইজরাইলি বর্বর বাহিনী, এখন সে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। ইজরাইলি এইসকল বর্বরতার কিছুই পশ্চিমা মিডিয়ার চোখে পড়ছে না। মনে হচ্ছে, এই রাষ্ট্রগুলোর জন্মই হয়েছে সকল ধরনের আগ্রাসন মুখ বুঝে সহ্য করে যাওয়ার জন্য, উল্টো পশ্চিমা মিডিয়া এইসব দেশের নির্যাতি-নিপীড়িত মানুষের দুর্বল প্রতিরোধকে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ আখ্যা দিয়ে তাদের উপর সকল ধরনের আগ্রাসন, নির্মমতাকে বৈধতা দিয়ে যাচ্ছে। স্বয়ং জেলেনস্কি এখন অসহায় হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহŸান জানিয়েছেন। অথচ, গত মে মাসেও ইজরাইলি আগ্রাসনের সময় তার টুইট বার্তা ছিলো ‘ইসরাইলের আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রে ছেয়ে গেছে। কয়েকটি শহরে আগুন লেগেছে। অনেকে ভুক্তভোগী। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। অনেক ট্র্যাজেডি। শোক আর দুঃখ ছাড়া এসব দেখা অসম্ভব। জনজীবনের স্বার্থে অবিলম্বে এ উত্তেজনা বন্ধ করা প্রয়োজন।’ যাদের মধ্যে শিশুদের লাশই ৭০-এর বেশি। আমাদের কথা হচ্ছে, মানবতা হোক সকলের জন্য, হোক সে মুসলিম কিংবা অমুসলিম, ফিলিস্তিন কিংবা ইউক্রেন। পশ্চিমা মিডিয়াকেও তাদের কাজের মাধ্যমেই তাদের এ অবস্থান পরিষ্কার করার সময় এসেছে। আশা করি, তারা সেটা ভেবে দেখার চেষ্টা করবেন।
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।