মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে দোকানের পণ্য বা খুচরা মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। জানুয়ারিতেও এ হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল। গত মাসে দাম বাড়ার এ হার এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। সম্প্রতি ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়াম (বিআরসি) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসি। বিআরসি ও গবেষণা ফার্ম নিলসেনআইকিউর তথ্যানুসারে, ফেব্রুয়ারিতে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পণ্যের খুচরা মূল্য বেড়েছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ। এটি ২০১১ সালের নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। তাজা খাবার, সৌন্দর্য ও আসবাবপত্রের মতো পণ্যের উচ্চ দাম এ রেকর্ড মূল্যস্ফীতিতে অবদান রেখেছে। জ্বালানির দাম ও বিল ক্রমাগত বাড়ায় অনেক ব্রিটিশপরিবার জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকসের (ওএনএস) সর্বশেষ আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান অনুসারে, যুক্তরাজ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হারে বাড়ছে। ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যবহির্ভুত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে। জানুয়ারিতে এ হার দশমিক ৯ শতাংশ ছিল। ফেব্রুয়ারির এ হারও ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ। এছাড়া গত মাসে তাজা খাবারের মূল্যস্ফীতি ৩ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে। জানুয়ারিতে এ হার ২ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল। যুক্তরাজ্যসহ দেশের বাইরে ফসলের আবাদ বিঘ্নিত হওয়ায় তাজা খাবারের মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। বিআরসির প্রধান নির্বাহী হেলেন ডিকিনসন বলেন, দামের এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অনাকাক্সিক্ষত খবর। কারণ যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলো এরই মধ্যে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও উচ্চজাতীয় বীমা হার মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। তবে খুচরা বিক্রেতারা এখনো উচ্চ পরিবহন ব্যয়, শ্রম ঘাটতি, পণ্যের উচ্চ দাম ও জ্বালানির দাম বাড়ার কারণে চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন। সব মিলিয়ে এ উচ্চব্যয়ের বড় একটি অংশ ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। উচ্চব্যয় ভোক্তাদের ওপর না চাপিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো কিছুটা মোকাবেলা করতে পারে। তবে সেটারও সীমা রয়েছে। নিলসেনআইকিউর খুচরা বিক্রি ও ব্যবসায়িক অন্তর্দৃষ্টির প্রধান মাইক ওয়াটকিনস মনে করেন, আগামীতে আরো কয়েক মাস খুচরা দাম বাড়তে থাকবে। অধিকাংশ পরিবারের কর ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যয় বাদ দিয়ে মূল আয় ক্রমহ্রাসমান রয়েছে। এ অবস্থায় খুচরা বিক্রেতাদের পছন্দ ও ছাড়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত সুবিধা দিয়ে ভোক্তাদের ব্যয় করতে উৎসাহিত করতে হবে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া নিয়ে সম্প্রতি সতর্ক করেছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, চলতি বছর জীবনযাত্রার ব্যয় ৭ শতাংশেরও বেশি বাড়তে পারে। গেগসের মতো খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান শ্রমব্যয় মোকাবেলায় এরই মধ্যে কিছু পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। হাই স্ট্রিটের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান নেক্সট জানিয়েছে, উচ্চব্যয় মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানটি পণ্যের দাম ৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। এছাড়া সুপারমার্কেট জায়ান্ট টেসকো সতর্ক করেছে, খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির সবচেয়ে খারাপ সময় এখনো আসেনি। আগামীতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।