Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যে কারণে মালদ্বীপে ছুটছেন রাশিয়ার ধনকুবেররা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২২, ১১:৩৩ এএম

ইউক্রেনে পুরদস্তুর অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। অথচ নিজ দেশ ছাড়তে শুরু করেছে রাশিয়ান ধনকুবেররা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, মালদ্বীপসহ বিভিন্ন নিরাপদ দেশের দিকে ছুটছেন রুশ বিত্তশালীরা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ভ্লাদিমির পুতিন ও তার সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এছাড়া বৈশ্বি আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান সুইপ্ট থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ আসে। এরপরই রুশ অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসে। রুশরা ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের নগদ অর্থ এবং মূল্যবান ধাতব সামগ্রী তুলে নিতে শুরু করেন। এখন রুশ ধনকুবেররা দ্রুত তাদের সম্পদ নিয়ে দেশ ছাড়তেও শুরু করেছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বেশ বিপাকে পড়েছেন রুশ ধনকুবেররা। একের পর এক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় কোটি কোটি ডলার হারাচ্ছেন তারা। এমন অবস্থায় তাদের বিলাসবহুল প্রমোদতরীগুলো মালদ্বীপে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আরটির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ান মালিকানাধীন অন্তত পাঁচটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী মালদ্বীপে নোঙর করা অবস্থায় দেখা গেছে।
শিপ ট্র্যাকিং ডাটা অনুযায়ী, ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রত্যার্পণ চুক্তি নেই। ধারণা করা হচ্ছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে বাঁচতে প্রমোদতরীগুলোকে মালদ্বীপে রাখছেন তারা।
বুধবার ফোর্বস জানায়, হামবুর্গের একটি শিপইয়ার্ডে থাকা রাশিয়ান ধনকুবের আলিশার উসমানভের প্রমোদতরী আটক করে জার্মানি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন উসমানভ। প্রমোদতরী শিল্পের তিনটি সূত্রের উপর ভিত্তি করে ফোর্বসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, তার ৫১২ ফুট প্রমোদতরী দিলবার জব্দ করেছে জার্মানি কর্তৃপক্ষ। যার আনুমানিক মূল্য ৬০০ মিলিয়ন ডলার (৫ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা প্রায়)।
এদিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর যুদ্ধকে কেন্দ্র করে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত রুশদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ধারণা করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র যেন তাদের সম্পদ জব্দ করতে না পারে তার জন্যই এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন রুশ ধনকুবেররা।
শিপিং ডাটাবেস মেরিনট্র্যাফিক অনুসারে, ২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা অ্যালুমিনিয়াম জায়ান্ট রুসালের প্রতিষ্ঠাতা ওলেগ ডেরিপাস্কার মালিকানাধীন ক্লিও সুপারইয়টকে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে নোঙর করে রাখা অবস্থায় দেখা গেছে।
এছাড়া ইস্পাত উৎপাদক ইভরাজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আলেকজান্ডার আব্রামভের মালিকানাধীন টাইটান সেখানে ভিড়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
বুধবার রাশিয়ান ধনকুবেরদের মালিকানাধীন আরও তিনটি প্রমোদতরীকে মালদ্বীপের পানিসীমায় ভ্রমণ করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ভ্লাদিমির পোটানিনের মালিকানাধীন ২৮৮ এফ নির্ভানা। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি মালদ্বীপ সরকারের মুখপাত্র। বছরের শুরুতে এসব প্রমোদতরীর বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্যের বন্দরে নোঙর করা ছিল। সূত্র : আরটি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ