বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে গাইবান্ধা, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর হয়ে লালমনিরহাটে এসেছেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাদেক আলী সরদার। তবে কোনো যানবাহনে নয়, বাবা-ছেলে এসেছেন পায়ে হেঁটে। হেঁটে ভ্রমণে বেরিয়ে বাবা-ছেলে দেখেছেন বিভিন্ন জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, সফল উদ্যোক্তা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ইতোমধ্যে তারা হেঁটে ১ হাজার ৬৪ কিলোমিটরের বেশি পথ অতিক্রম করেছেন। বুধবার (২মার্চ) সকালে হেঁটে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার বাজারে আসেন তারা।
জানা গেছে, গাইবান্ধা পৌরসভার মধ্য গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা সাদেক আলী সরদার (৬৬)। ছিলেন সেনাবাহিনীর অনারারি ক্যাপ্টেন (প্যারা কমান্ডো)। ২০০৬ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। আর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫) ঢাকার চাকরি ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে গাইবান্ধায় ব্যবসা করছেন। এর মাঝে বাবা-ছেলে পরিকল্পনায় ২০২১ইং সালের ১৪ ডিসেম্বর পায়ে হেঁটে ভ্রমণে প্রথম যাত্রা শুরু করেন বাবা সাদেক আলী সরদার ও ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান। তারা দেখতে যান গাইবান্ধার ফুলছড়ি থানা, একই উপজেলার আনন্দবাজার, বালাসীঘাট, কালির বাজার, বুড়াইল, পুরাতন ফুলছড়ি ঘাট ও বোঁচার বাজার, সদর উপজেলার ত্রিমোহিনী, তুলসীঘাট, বাদিয়াখালী, কামারজানী, তালুক বুড়াইল গ্রামের খাজা হাজির খামার ও সোনাইডাঙ্গা গ্রামের ভাষা সৈনিক গোলাম মোস্তফার বাড়ি, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর, একই উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নে বামনডাঙ্গা জমিদার বাড়ি ও হরিপুর ইউনিয়নে নির্মাণাধীন বহুল আলোচিত তিস্তা সেতু দেখে বেলকা হয়ে ধুপনী, পলাশবাড়ী উপজেলা শহর, সাদুল্যাপুর উপজেলা শহর ও কয়েকশ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী জামালপুর শাহী মসজিদ, সাঘাটা বাজার ও বোনারপাড়া, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট ও ঐতিহাসিক রাজাবিরাট এলাকায় রাজ পরিবারের প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শন, রংপুর জেলা শহর, একই জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার মাদারগঞ্জ ও পীরগাছা উপজেলা, বগুড়া জেলা শহর, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মুঘল বা সুলতানী আমলে নির্মিত ঐতিহাসিক নিদর্শন সুরা মসজিদ ও হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর এবং সর্বশেষ লালমনিরহাট পরিদর্শনের মধ্যদিয়ে ১ হাজার ৬৪ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করেন বাবা-ছেলে।
ছেলে মোস্তাফিজুরকে নিয়ে বাবা সাদেক আলী সরদার বলেন, প্রতিদিন প্রত্যেকের ৩০ মিনিট হাঁটা উচিত। তাহলে শরীর অনেক ভালো থাকবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বাসা বাঁধে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থুলতাসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ। বেশি বেশি হাঁটা হাঁটি ও শরীর চর্চার পাশাপাশি পরিমিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে শরীরে কোরো অসুখ বাসা বাঁধবে না। কিন্তু এখন মানুষ হাঁটতে চায় না। সবাইকে অনুরোধ করব অন্তত প্রতিদিন হেঁটে শরীর ভালো রাখুন। বাবা সাদেক আলী সরদার আরও বলেন, প্রতিদিন আমাদের টার্গেট ১৫০ কিলোমিটার পথ চলা। এই পথ চলায় যদি আমাদের কেউ সঙ্গী হতে চায়, তবে তাদের স্বাগত জানাব। কিন্তু এতগুলো জেলায় গিয়ে ফিরে এসেছি, কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেনি। নতুন প্রজন্ম এখন হাঁটতে চায় না। গাড়িতে চলতে পছন্দ করে। এতে করে শরীরের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ, হাঁটার অভ্যাস করুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।