Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত

চরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা

লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ৭:০৪ পিএম

আবারো বেড়েছে তিস্তার পানি। গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে পানি কিছুটা কমেছে । বিকাল ৩ টার পর থেকে পানি ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভোর থেকে তিস্তার পানি হুহু করে বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার চরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে চরের নিম্না এলাকায় শতাধিক পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়ছে। সাথে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙ্গন।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকালে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপরে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারাজ পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, সকাল ৯ টায় পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার যাহা বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।বেলা ১২ টায় বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার হয়েছিল কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে তিস্তার পানি ক্রমেই কমতে থাকে এবং বিকালে ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার তীরবর্তী নিম্না অঞ্চলের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন।

জানা গেছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধি ও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। ভাঙ্গনের ফলে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার ভাঙ্গনের কবলে পরে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

হাতীবান্ধা সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদে সদস্য মফিজার রহমান জানান,তিস্তার পানি আজ ভোর থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু পরিবার পানিবন্ধী হয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে সিন্দুর্না ইউনিয়নের ১ ও ২ নং চর সিন্দুর্ন চিলমারী গ্রামের ১০ দিনের ব্যবধানে প্রায় শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে।

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেবিন ইসলাম বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে শুক্রবার ভোর থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর চর এলাকায় কিছু পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়ছেন ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লালমনিরহাট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ