বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বেড়ে বিপদ সীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর এলাকায় শতাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়ছে। সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। এছাড়া চর অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সোমবার (১৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪ টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপরে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজে রক্ষায় ৪৪ গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
হাতীবান্ধা ও আদিতমারী উপজেলায় তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় আমন ধান ও সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তা-ঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলের কষ্টে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ। ঘরে পানি ওঠায় রান্না করতে পারছেন না। পরিবার গুলো মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।
জানা গেছে, জেলার হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে।
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি ও অব্যাহত ভাঙনে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার উপজেলার চর সিন্দুর্না ও পাটিকাপাড়া এলাকার দুই শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বসতবাড়ি ও ফসলী জমি হারিয়ে ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে।
মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে দুটি ইউনিয়নের দুই শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে চর সিন্দুর্নার কমিউনিটি ক্লিনিক ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ মাদ্রাসা। সিন্দুর্নার ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী চিলমারী গ্রামের শতাধিক বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন,তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গনে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৭ টি পরিবারের বসতবাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলান হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, পানিবন্দি পরিবার গুলোর তালিকা তৈরি করার জন্য নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা পেলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর জন্য সরকারী সহায়তা প্রদান করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।