Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুদিন আগেও স্বজনদের সঙ্গে কথা হয় হাদিসুরের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২২, ১০:৫৯ এএম

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার দিনই গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশের জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি। হামলা শুরু হলে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে জাহাজে আটকা পড়েন জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমানসহ ২৯ বাংলাদেশি নাবিক। কিন্তু ইউক্রেনে হামলা শুরুর সপ্তম দিনে বাংলাদেশি জাহাজটিতে গোলার আঘাতের ঘটনা ঘটল। এতে বাকিরা নিরাপদে থাকলেও হাদিসেরের মৃত্যু হয়।

হাদিসুরের গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলায় হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে লেখাপড়া করে ২০১৮ সালে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দেন তিনি।

হাদিসুরের চাচা মাকসুদুর রহমান বলেন, ৬ মাস আগেও বাড়িতে এসেছিল তিনি। তবে ইউক্রেনে আটকে পড়ার পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নিয়মিত। দুদিন আগেও (সোমবার) বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে হাদিসুর। তখন জানান, জাহাজে তারা সবাই ভালো আছে। পরিবারের ইচ্ছে ছিল এবার বাড়িতে আসলে তাকে বিয়ে দেওয়ার। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।

এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধের মধ্যে হাদিসুরের লাশ দেশে আনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন পরিবার। যুদ্ধের কারণে যেখান থেকে জাহাজই বের হতে পারছে না, সেখানে হাদিসুরের মরদেহ নিয়ে আসা আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিহত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ