Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রাশিয়ায় বিক্রি বন্ধ!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২২, ১২:১৩ এএম

অ্যাপলের আর কোনো জিনিস রাশিয়ায় পাওয়া যাবে না। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জন্য সেখানে বাণিজ্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত টেক সংস্থাটির। রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনে আক্রমণ চালাচ্ছে, তা নিয়ে তারা অত্যন্ত চিন্তিত। বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে অ্যাপল।

তাদের বক্তব্য, রাশিয়ার আক্রমণের ফলে বহু মানুষ আক্রান্ত। বহু মানুষকে ঘর ছেড়ে পালাতে হচ্ছে। আমরা তাদের পাশে আছি। বিবৃতিতেই রাশিয়ায় নিজেদের জিনিস বিক্রি বন্ধ করার কথা জানায় অ্যাপল। অর্থাৎ আইফোন, কম্পিউটার, ট্যাবলেট কিছুই আর পাওয়া যাবে না রাশিয়ায়। যদিও রাশিয়া অ্যাপলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার ছিল। অ্যাপলের জিনিসের বিপুল বিক্রি ছিল সেখানে। অ্যাপল প্রথম নয়, এর আগে একাধিক সংস্থা রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য যোগাযোগ বন্ধ করেছে। সেখান থেকে কোম্পানি গুটিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তেলের কোম্পানি শেল, চলচ্চিত্র সংস্থা ওয়ার্ল্ড ডিজনি, নরওয়ের এনার্জি কোম্পানি ইকুইনোর এএসএ, ফ্রান্সের টোটাল এনার্জিস এসই ইত্যাদি

ইউরোপীয় ইউনিয়ন একত্রে এবং ইউরোপের দেশগুলো আলাদা আলাদা করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। নিউজিল্যান্ড, ক্যানাডার মতো দেশও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি বাণিজ্যিক এবং পর্যটনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ফিফা-উয়েফার মতো ক্রীড়া সংস্থা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। বস্তুত, এ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ব্যক্তিগতভাবে রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার কথা জানালো। যার সর্বশেষ উদাহরণ অ্যাপল। সূত্র : রয়টার্স, এপি।



 

Show all comments
  • Ibrahim Mohammed Mustofa Ali ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:২৪ এএম says : 0
    রাশিয়ার পক্ষ নিতে হবে। রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে লাভ হবেনা এই ভাবে কাতার কে দিয়েছিলো। কাতার এখন টপে আছে
    Total Reply(0) Reply
  • Muddasir Rahman ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:২৬ এএম says : 0
    ইউক্রেন এখন রীতিমতো কঠিন যুদ্ধের ও বর্ণনাতীত ধ্বংসযজ্ঞের, অপূরনীয় ক্ষতির মাইনকার চিপায় পড়ে গেছে। ইউরোপ অস্ত্র সাপ্লাই দিচ্ছে, আমেরিকা হেভি অস্ত্র দিচ্ছে, ন্যাটো গোপনে বসে নেই। নতুন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্রের ব্যবহার ও গুণগত মান ও যাচাই করা হচ্ছে এখানে, এসবের কার্যকারিতা ও পারঙ্গমতা কতটুকু, রাশিয়ার বর্তমান সৈন্য ও সমরাস্ত্রের সাথে আরো চল্লিশ মাইলের দীর্ঘ সামরিক বাহিনীর সমরাস্ত্রসজ্জিত বাহিনীর বহর কিয়েভের নিকটবর্তী। ইউরোপ, আমেরিকার সরবরাহকৃত এ অস্ত্র গুলো ইউক্রেনের জনগনের হাতে যাবে, ব্যবহরিত হবে এবং এগুলো ও ধ্বংস করবে রাশিয়া, আরো ধ্বংসযজ্ঞ হবে,ধ্বংস হবে আরো ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বেসামরিক স্হাপনা,ব্যবসা বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ধ্বংসযজ্ঞে পরিনত হবে গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস এরিয়া গুলো। উভয় পক্ষের অগুনিত সৈনিক ও মানুষ শেষ হবে চিরদিনের জন্যে। ইউক্রেন সংকট আরো দীর্ঘায়িত করা গেলে নুন্যতম চল্লিশ লক্ষের অধিক ইউক্রেনীয় জনগোষ্ঠী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শরনার্থী হবে,বাস্তুহারা হবে কোটির অধিক মানুষ। সম্পদ হারাবে বেশুমার। একজন অপরিনামদর্শী কমেডিয়ান ইহুদী বংশদ্ভূত প্রেসিডেন্টের হাতে দেশের ভার সঁপে দিলে কি হতে পারে কমেডিয়ান জেলনস্কী সরকার তার জলন্ত প্রমাণ। ন্যাটোর সদস্য হবার দূরবর্তী স্বপ্ন বাস্তব রূপ দিতে গিয়ে সামরিক, বেসামরিক মানুষের জীবন দান,স্হাপনা গুলো ধ্বংস করা, দেশের বারোটা বাজিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিলীন করার নাম দেশপ্রেম না। ইউক্রেন এখন রীতিমতো সিরিয়া হতে চলেছে যদি আমেরিকা নাছোড়বান্দা হয় আর রাশিয়া ন্যাটোর আধিপত্য বিস্তার রোধ করতে ইউক্রেনকে নিউট্রাল করতে তার অপূরনীয় ক্ষতি স্বীকার করে নেবেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Ullah ৩ মার্চ, ২০২২, ৬:২৭ এএম says : 0
    যেভাবে বিভিন্ন রাষ্ট্রগুলো ইউক্রেনের উপরে বিনিয়োগ করা শুরু করেছে এই বিনিয়োগ যদি শান্তির জন্য করা হতো তাহলে বিশ্বে কোন দরিদ্র মানুষ হলে থাকত না পৃথিবীতে যুদ্ধ করার জন্য সবগুলো দেশ যেগুলো অস্ত্র ক্রয় করে ওই টাকা দিয়ে যদি মানুষের বাসস্থান করে দেয়া হতো তাহলে পৃথিবীতে কোন ঘর হারা মানুষ থাকত না
    Total Reply(0) Reply
  • MD Mijan ৩ মার্চ, ২০২২, ৯:৩৮ এএম says : 0
    ওরা মানবতার বুলি ওড়াচ্ছে, যখন ফিলিস্তিন, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন, মায়ানমারের রোহিঙ্গা, আফগানিস্তান, ভেনেজুয়েলা, সুদান সহ বিভিন্ন দেশে জোর করে যুদ্ধে লাগিয়ে অর্থনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে অকেজো একটি পঙ্গু রাষ্ট্র করে দিচ্ছে, তখন তাদের মানবতা কোথায়, তাদের নিষেধাজ্ঞা কোথায়, সামরিক সাহায্য কোথায়, বিভিন্ন অনুদান কোথায়, আসলে তারা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া কিছুই বোঝে না। যদি কখনো বাংলাদেশ তাদের স্বার্থ বিরোধী হয়, তখন মনে হয় বাংলাদেশের ও সেই একি পরিনাম ভোগ করতে হবে... যেমনটি বর্তমান হচ্ছে রাশিয়ার ক্ষেত্রে....
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ