মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তিনি মিলিয়ে দিয়েছেন ৯/১১, ব্রেক্সিট কিংবা ভাইরাসের হানায় মহামারীর মতো নানা ঘটনা। নস্ত্রাদামুস নন, তিনি বাবা ভাঙ্গা। বুলগেরিয়ার বাসিন্দাদের কাছে তো বটেই, সারা বিশ্বের কাছেই দৃষ্টিহীন এই বৃদ্ধার জনপ্রিয়তা যথেষ্ট। ১৯৯৬ সালে মারা গিয়েছেন তিনি। তার আগেই বলে গিয়েছেন ভবিষ্যৎ দুনিয়ার নানা কথা। যার মধ্যে ছিল এমন এক ভবিষ্যদ্বাণী, যা আজকের পৃথিবীতে প্রচণ্ড প্রাসঙ্গিক। কী সেই ভবিষ্যদ্বাণী? তিনি বলে গিয়েছিলেন, একদিন রাশিয়া শাসন করবে দুনিয়া!
এই মুহূর্তে ইউক্রেনের আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে রুশ যুদ্ধবিমান। প্রতিবেশী দেশকে দখলে রাখতে চাইছেন ভ্লাদিমির পুতিন। প্রশ্ন উঠছে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি আসন্ন? যদিও এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন-রাশিয়ার লড়াইয়ে অন্য কোনও দেশই এগিয়ে আসেনি। তবুও রাশিয়া যেভাবে আমেরিকার হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইউক্রেনের উপর ঝাঁপিয়েছে, তাতে আগামী দিনে বিশ্বের শক্তিধর দেশের তালিকায় রাশিয়া আরও উঁচুতে উঠে আসতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী ঘিরে জাগছে প্রশ্ন? তাহলে কি আগামী পৃথিবীর শাসক হয়ে উঠবেন পুতিন?
কে ছিলেন বাবা ভাঙ্গা? ১৯১১ সালে বুলগেরিয়ায় জন্ম তার। মাত্র বারো বছর বয়সে চোখের দৃষ্টি হারান এই মহিলা। খুলে যায় অন্তর্দৃষ্টি। তখন থেকেই তিনি ভবিষ্যৎ দেখতে পেতেন বলে দাবি করা হয়। আমেরিকায় জোড়া বিমান হামলা থেকে ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি- অনেক কিছুই। সেই তিনিই বলেছিলেন, ‘সব গলে যাবে, বরফের মতো। কেবল একজনের গায়েই আঁচড় লাগবে না। তা রাশিয়ার গৌরব। রাশিয়াকে কেউ আটকাতে পারবে না। একদিন রাশিয়াই বিশ্বের শাসক হবে।’
তবে বাবা ভাঙ্গা এমন বলে গেলেও ইউক্রেনে কিন্তু চাপে পড়ে গিয়েছেন পুতিনও। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল, দিন দুয়েকের মধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেন দখল করে ফেলবে। কিন্তু কোনও দেশ সাহায্যের জন্য এগিয়ে না এলেও এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন যে পালটা লড়াই দিয়েছে তা চমকে দিয়েছে সকলকে। পাশাপাশি এভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করার জন্য গোটা বিশ্বের বহু দেশ তো বটেই, নিজের দেশেই কোণঠাসা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে অবশ্য বাবা ভাঙ্গার এই ভবিষ্যদ্বাণী ফলার মতো তেমন কিছু চোখে পড়ছে না। সূত্র: ফ্রি প্রেস জার্নাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।