Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রাজধানী কিয়েভে ঢুকেছে রুশ সৈন্যরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১০:০৫ এএম

রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বৃহস্পতিবার দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী তিন দিক থেকে অভিযান শুরুর পর এখন রাজধানীর দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে।

তবে পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, তারা যা ধারনা করেছিলেন রুশ সৈন্যরা তা চেয়ে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদক পল অ্যাডামস বলছেন, কিয়েভের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এখন রুশ প্যারাট্রুপাররা হয়ত অগ্রসরমান রুশ সাঁজোয়া বাহিনীর জন্য অপেক্ষা করবে নতুবা ঐ ঘাঁটি থেকে নিজেরাই কিয়েভের ওপর হামলা শুরু করবে। ব্যাপারটি যে কোনো সময় ঘটতে পারে।
কিয়েভে এখন কারফিউ। রুশ বিমান হামলার ভয়ে মাঝে মধ্যে সাইরেন বাজছে। মানুষজনকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হচ্ছে। অনেকে পাতাল রেল স্টেশনগুলোতে গিয়ে বসে আছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, রুশ হামলার শিকার বিমানঘাঁটির অবস্থান কিয়েভের অ্যান্টোনভ বিমানবন্দরের পাশেই। সেখানে হামলার অর্থ হলো, ইউক্রেনে অভিযানের প্রথম দিনই একেবারে রাজধানী পর্যন্ত পৌঁছে গেছে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বলেছে, কিয়েভে সরকারি স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে গ্র্যাড মিসাইল ছুড়ে হামলা চালাচ্ছে রুশ সৈন্যরা।
রাজধানী কিয়েভের উত্তরাঞ্চলের আকাশে কয়েকটি হেলিকপ্টার নিচু দিয়ে উড়তে দেখেছেন বলে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির একজন প্রতিনিধি জানিয়েছেন। এ সময় কিয়েভের একটি বিমানঘাঁটিতে হামলার খবর পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, বিবিসির ইউক্রেন সার্ভিসের সম্পাদক মার্তা শোকালো বলেছেন, ইউক্রেনে আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। তিনি বলেন, আমি একজন সহকর্মীর কাছ থেকে ইউক্রেনে ভ্লাদিমির পুতিনের আক্রমণের ঘোষণার বার্তা পাওয়ার পর রাতে জেগে ছিলাম। এরপরই শুরু হয় বিস্ফোরণ।
তিনি বলেন, আমি বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। শহরের বিভিন্ন অংশের লোকজন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বার্তা পাঠাতে শুরু করেছে যে তাদের কাছাকাছি বিস্ফোরণ ঘটছে।
মার্তা শোকালো বলেন, দেশের পূর্বাঞ্চলের সম্মুখভাগ নয়, বরং কিয়েভ আক্রমণের মুখে ছিল। এটি বুঝতে পারাটা ছিল বড় ধাক্কা। ইউক্রেনে আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।
‘এখানে সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভয় হচ্ছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এবং ইন্টারনেট কাজ করছে না। আমরা সত্যিই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ব। দেশে আতঙ্কের হাওয়া বইছে, এখন আমরা জানি গোটা দেশ আক্রমণের মুখে।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় হামলা শুরু করেছে। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টির মতো পড়েছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের চেরনিহিভ, খারকিভ এবং লুহানস্ক সীমান্ত পেরিয়ে হাজার হাজার রুশ সৈন্য স্থলপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েছে। সূত্র : রয়টার্স, এএফপি, বিবিসি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ