Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এক দশকে নারী নেতৃত্ব ৩৯ শতাংশে উন্নীত যুক্তরাজ্যে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

যুক্তরাজ্যের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোয় নারী নেতৃত্ব বাড়ছে। গত এক দশকে বৃহত্তম প্রতিষ্ঠানগুলোর বোর্ডে নারীদের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে। বর্তমানে শীর্ষ ১০০ ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানে নারী নেতৃত্ব পুরুষদের তুলনায় ৩৯ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছেছে। ২০১১ সালেও এ হার মাত্র ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল। যদিও বর্তমানের এ হারকে সন্তোষজনক বলতে নারাজ বিশ্লেষকরা। তাদের ভাষ্য, ব্যবস্থাপনা বোর্ডগুলোয় নারীদের সংখ্যা আরো বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া বোর্ডে নারীদের সংখ্যা বাড়লেও নির্বাহী পর্যায়ে নারীদের হার এখনো নগণ্যই রয়ে গেছে। প্রকাশিত সরকার-সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর রয়টার্স। গবেষকরা এফটিএসই ১০০ (লন্ডন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাজার মূলধনে শীর্ষ ১০০ প্রতিষ্ঠান), মিড-ক্যাপ এফটিএসই ২৫০ (বাজার মূলধনে ১০১ থেকে ২৫০ শীর্ষ প্রতিষ্ঠান) ও এফটিএসই ৩৫০ সূচকে প্রায় ২৪ হাজার নারী নেতৃত্ব পর্যালোচনা করেছেন। শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে নারী নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে যুক্তরাজ্য দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ২০২০ সালেও দেশটির অবস্থান পঞ্চম ছিল। এক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ফ্রান্স। দেশটির শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোয় নারী নেতৃত্বের হার প্রায় ৪৪ শতাংশ। প্রতিবেদনটিতে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এফটিএসই ৩৫০ প্রতিষ্ঠানগুলোয় নেতৃত্ব ও বোর্ডে নারী উপস্থিতি ৪০ শতাংশে উন্নীত করার পাশাপাশি নতুন সুপারিশ করা হয়েছে। গত জুলাইয়ে দেশটির আর্থিক নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছিল, যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ১০০ প্রতিষ্ঠানে বোর্ড সদস্যদের অন্তত ৪০ শতাংশ নারী হওয়া উচিত। সরকার-সমর্থিত স্বাধীন প্রতিষ্ঠান এফটিএসই ওম্যান লিডার্স রিভিউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০০ প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এফটিএসই ২৫০ ও এফটিএসই ৩৫০ প্রতিষ্ঠানগুলোর বোর্ডে নারীদের সংখ্যা কম। ২০২১ সালে এফটিএসই ২৫০ ও এফটিএসই ৩৫০ প্রতিষ্ঠানগুলোর বোর্ড সদস্যদের মধ্যে নারীদের হার যথাক্রমে ৩৭ ও ৩৮ শতাংশ। ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং নারী নেতৃত্বে এ অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। তবে তিনি বলেন, এখনো অনেক পথ পাড়ি দেয়া বাকি রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো পূর্ববর্তী পর্যালোচনায় নির্ধারিত ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্বের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। নেতৃত্ব পর্যায়ে তিনজনের মধ্যে একজন এবং কার্যনির্বাহী কমিটিতে নারীদের হার প্রায় ২৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে নারীদের ভূমিকা নগণ্যই রয়ে গেছে বলে জানান তিনি। নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা ফসেট সোসাইটির প্রধান নির্বাহী জেমিমা ওলটাওস্কি বলেন, বর্তমানের হার কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। বেশির ভাগ বোর্ডগুলোয় পুরুষদের অত্যধিক প্রতিনিধিত্ব করা এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমরা সিইও ও জ্যেষ্ঠ পদগুলোর দিকে তাকালে দেখতে পাব, সেগুলোয় নারীদের উপস্থিতি বাড়ার হার বেদনাদায়ক ধীর। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বেচ্ছাসেবী ভিত্তিতে নারী নেতৃত্ব বাড়ানোর এ প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকার কঠোর বিধি আরোপ করতে পারে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মপরিকল্পনা প্রকাশে বাধ্যবাধকতা আরোপের বলেও জানান তিনি। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর নেতৃত্ব পর্যায়ে থাকা লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে কাজ করা ৩০% ক্লাবের গ্লোবাল ক্যাম্পেইন ম্যানেজার লরা হুইটকম্ব বলেন, কিছু ক্ষেত্রে যে দুর্দান্ত অগ্রগতি হয়েছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে বোর্ডগুলোয় মনোযোগ দেয়া এ বিষয়টিকে বিভ্রান্ত করছে। কারণ বোর্ডগুলোয় নারীদের সংখ্যা বাড়লেও নির্বাহী পর্যায়ে আমরা খুব বেশি অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। নারী নেতৃত্ব বিকাশে একেবারে নিম্ন থেকে শীর্ষ পর্যন্ত পুরো পাইপলাইনে নারীদের সংখ্যা বাড়াতে মনোযোগ দিতে হবে। যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ২৫০টি প্রতিষ্ঠানের বোর্ডে নারীদের সংখ্যা ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। যদিও এ হার এফটিএসই ১০০ সূচকের চেয়ে কম। ২০২০ সালে এ হার ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ ছিল। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাজ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ