পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী পরিত্যক্ত তরুণীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণের ঘটনায় অভিযুক্ত চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ আল মতিন ভারত পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে মামলার তদকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পিবিআইর নোয়াখালী কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পিবিআই, কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। এর আগে গত সোমবার কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
পিবিআইর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, চাটখিল উপজেলার পাল্লা বাজারে স্বামী পরিত্যক্ত তরুণী ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে পিবিআই কুমিল্লা ছাড়াও আশেপাশের ইউনিট গুলো তৎপর হয়। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহার করে এবং গোপন সংবাদে জানতে পারেন অভিযুক্ত ফুয়াদ আল মতিন কুমিল্লা হয়ে ভারত পালিয়ে যাবেন। ওই তথ্য পাওয়ার পর তারা কুমিল্লায় বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড় এলাকার আবাসিক হোটেলে ফুয়াদ আল হাসান তার নাম পাল্টে মাসুদ রানা উল্লেখ করে গত রোববার সন্ধ্যায় একটি কক্ষ ভাড়া নেন। এরপর পিবিআই কুমিল্লার একদল সদস্য হোটেল আল-রাফির পাশে থেকে গত সোমবার সকালে গ্রেফতার করেন।
মিজানুর রহমান বলেন, গ্রেফতার ফুয়াদ আল মতিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরুণীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র ধারণের কথা স্বীকার করেছেন। তাকে গতকাল মঙ্গলবারই আদালতে হাজির করা হয়েছে। পিবিআইর পরিদর্শক সিরাজুল মোস্তফা মামলাটি তদন্ত করবেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার সকালে স্বামী পরিত্যক্ত তরুণীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে চাটখিল উপজেলার পাল্লা বাজারের একটি বিমা কোম্পানির কার্যালয়ে ডেকে নেন পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ আল মতিন। তিনি তরুণীকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।