বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মেঘনা বেষ্টিত অপার সম্ভাবনাময় হাতিয়া উপজেলা। একদিকে নদীভাঙছে অন্যদিকে প্রতিনিয়ত বিশাল বিশাল নতুন চর জাগছে। হাতিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী নদী ভাঙনরোধ ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। এরমধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের কাজ দ্রæতগতিতে এগিয়ে চলছে। আগামি কয়েক মাসের মধ্যে হাতিয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিদ্যুতের ঝলমল দেখতে পাবে জনগণ।
হাতিয়ার দ্বীপাঞ্চল ও নদীগর্ভে জেগে ওঠা বিশাল ভূমিকে প্রকৃতির আশির্বাদ হিসেবে দেখা হয়। একটি বৃহৎ জেলার আয়তনের সমান এখন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। হাতিয়া উপজেলার মূলভূখন্ডের উত্তরে রয়েছে এশিয়ার বৃহৎ সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্বর্ণদ্বীপ, পূর্বদিকে ভাসানচর রোহিঙ্গাদের আশ্রয় কেন্দ্র এবং পশ্চিম দক্ষিণে প্রকৃতির অপরুপ সমাহার পর্যটন নগরী নিঝুমদ্বীপ। কিন্তু দ্বীপ উপজেলায় বিদ্যুৎ সমস্যা দীর্ঘদিনের। উপজেলা সদর ওছাখালীতে ডিজেল চালিত জেনারেটরের মাধ্যমে উৎপাদিত ’স্বল্প পরিমাণ’ বিদ্যুৎ মাত্র দু’একটি নিদ্দিষ্ট এলাকার চাহিদাও মেটাতে পারতো না। ফলে বিদ্যুৎ সমস্যায় এখানকার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যহত হচ্ছে। অবশেষে সরকার হাতিয়া উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। যার প্রেক্ষিতে দ্বীপ উপজেলায় ১ মেগাওয়াট ফার্নেস অয়ের ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ নির্মাণ কাজ চলছে।
হাতিয়া উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান জানান, হাতিয়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষে ১৫হাজার ৫০০ বৈদ্যুতিক খুঁটি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে অধিকাংশ সড়কে ইতিমধ্যে খুঁটি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। হাতিয়া জাহাজমারা থেকে নিঝুমদ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষে সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ৬ মেগাওয়াট, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৯ মেগাওয়াট ও পরে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এছাড়া ২০৩০ সাল পর্য্যন্ত চাহিদা বেড়ে ২০/২৫ মেগাওয়াট হতে পারে। ভবিষ্যতে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেলে নোয়াখালী সদরের মান্নান নগর গ্রীড থেকে ১৩২ কেভি লাইন সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে হাতিয়া উপজেলায় সরবরাহের প্রস্তবনাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, হাতিয়া উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ হলে জনসাধারণের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে। হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এখানে কুটির ও মাঝারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। সংরক্ষণের অভাবে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা সামুদ্রিক মৎস বিনষ্ট হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহের পর এখানে মৎস প্রক্রিয়াজাত কারখানা চালু হবে। এক কথায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ হলে এখানকার জনজীবন পাল্টে যাবে।
জানতে চাইলে হাতিয়া আসনের এমপি আয়েশা ফেরদাউস ইনকিলাবকে জানান, হাতিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী পূরণ হচ্ছে। এ জন্য আমি জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। হাতিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা লাঘবে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে হাতিয়ায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে লক্ষে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।