পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে বৈদেশিক ডাকের একটি গৃহস্থালির চালানে পাওয়া গেছে ইতালিতে তৈরি দু’টি স্বয়ংক্রিয় পিস্তল। একই চালানে পিস্তলের সঙ্গে এসেছে ৬০ রাউন্ড কার্তুজ। এছাড়া ওই চালান থেকে দু’টি খেলনা পিস্তলও উদ্ধার করা হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল রোববার ক্রোকারিজসহ বিভিন্ন গৃহস্থালি পণ্যের চালানের একটি কার্টুনে এসব অস্ত্র-গুলি পাওয়া যায়। বৈদেশিক ডাকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র আসার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশের কাস্টমস কর্মকর্তারা। আগেও এ ধরনের চালান এসেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, অস্ত্র চোরাকারবারিরা বৈদেশিক ডাকের চালান ব্যবহার করে পিস্তলগুলো পাঠিয়েছে বলে আমাদের ধারণা। রান্নাঘরের সামগ্রীর ভেতরে করে সেগুলো এমনভাবে পাঠিয়েছে যেন দেখে মনে হবে খেলনা অস্ত্র। সবগুলো একই আকারের একই রঙের। যার নামে চালানটি এসেছে এবং যিনি পাঠিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা হবে। তিনি বলেন, দেড় ফুট বাই দেড় ফুটের একটি কার্টুন। এর ভেতরে ক্রোকারিজ, ফ্রাইপেন, ব্লেন্ডার, চামচসহ রান্নার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী আছে। এই কার্টুনের মধ্যেই চারটি অস্ত্র পাওয়া গেছে। কাস্টমসের একজন ডেপুটি কমিশনার পরীক্ষার সময় কার্টুন নাড়াচাড়া করে সন্দেহজনক বস্তুর অস্তিত্ব টের পান। তখন কার্টুন খুলে দেখা যায় চারটি অস্ত্র ও কার্তুজ। এরমধ্যে দুটি খেলনা অস্ত্র।
চালানটি ইতালি থেকে পাঠানো হয়েছে। প্রেরকের জায়গায় রাজীব বড়ুয়া নাম লেখা আছে। নগরীর আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনির এফ-সেভেন/এ-৮ ঠিকানায় জনৈক কামরুল হাসানের নামে চালানটি পাঠানো হয়েছে। বৈদেশিক ডাকের চালানে অস্ত্র উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নগরীর বন্দর থানা পুলিশ। তারা অস্ত্রগুলো পরীক্ষা করেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর বলেন, চারটি পিস্তলের মধ্যে দু’টি অরিজিনাল অস্ত্র এবং দু’টি খেলনা। আসল অস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি নাইন এমএম ও আরেকটি এইট এমএম পিস্তল। এগুলো ইতালির তৈরি। তদন্তে কারা অস্ত্র পাঠিয়েছে এবং দেশে কারা এর গ্রাহক ছিল সেটা বের হবে। এভাবে আগে কোন আগ্নেয়াস্ত্রের চালান দেশে ঢুকেছে কিনা সেটিও তদন্ত করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।