মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ বর্তমানে অনেকটাই আয়ত্বে। এমন অবস্থায় ডেলটাক্রনের দেখা মিলেছে ইংল্যান্ডে। আর নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞেরা। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থার কথা, ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। হাইব্রিড ভ্যারিয়েন্ট ডেলটাক্রন। অর্থাৎ দু’টি ভ্যারিয়েন্ট ডেলটা এবং ওমিক্রনের মিশ্রণে তৈরি। এতে দু’টি চরিত্রই বিদ্যমান। ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা (এইচএসএ) জানিয়েছে, দেশের একটি গবেষণাগারে নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়েছে এটি। মিউট্যান্ট হাইব্রিড-টিকে নজরে রাখার কাজ শুরু হয়ে গেছে। ডেলটাক্রনের আবির্ভাব নিয়ে মুখ খুললেও নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি ঠিক কতটা বিপজ্জনক, সে নিয়ে কিছু জানায়নি এইচএসএ। অর্থাৎ এর সংক্রমণ ক্ষমতা কতটা, মারণ ক্ষমতাই বা কেমন, তা নিয়ে মুখ খোলেনি তারা। এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটিয়েছে ডেলটা স্ট্রেন। এর প্রভাবে দ্বিতীয় ঢেউ আসে।
উল্টো দিকে, ওমিক্রন সবচেয়ে বেশি সংক্রামক স্ট্রেন। এটি ডেকে এনেছে তৃতীয় ঢেউ। এটি সংক্রমণ ক্ষমতা ভয়াবহ হলেও মৃত্যুসঙ্কট কম ছিল। দুই ভ্যারিয়েন্টের মিশ্রণে তৈরি নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেলটাক্রন বিজ্ঞানীদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। ইংল্যান্ডের এইচএসএ অবশ্য এখনও ডেলটাক্রন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে এবং করোনা সম্পর্কিত বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।
ডেলটাক্রন ভ্যারিয়েন্ট গত বছরের শেষের দিকে প্রথম ধরা পড়ে সাইপ্রাসে। ‘ইউনিভার্সিটি অব সাইপ্রাস’-এর গবেষক লিয়োনিডস কসট্রিকিস দাবি করেছিলেন, তার দল ২৫টি ডেলটাক্রন সংক্রমণ চিহ্নিত করেছে। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক তথ্যভান্ডার ‘জিআইএসএআইডি’র কাছে সেই ২৫টি সংক্রমণের জেনেটিক সিকোয়েন্স পাঠান কসট্রিকিসরা।
কসট্রিকিস সে সময়ে জানিয়েছিলেন, হাইব্রিড ভ্যারিয়েন্টটিতে রয়েছে ডেলটার জিনোম ও ওমিক্রনের জেনেটিক চিহ্ন। যদিও বহু গবেষণা সংস্থা কসট্রিকিসের দাবিকে খারিজ করে দেয়। অনেকে বলেন, ‘ল্যাব এরর।’ অর্থাৎ গবেষণাগারে কোনও ভুল হয়েছে। সন্দেহ প্রকাশ করা হয়, হয়তো দু’টি ভ্যারিয়েন্টের নমুনা কোনও ভাবে গবেষণাগারে মিশে গিয়ে এই ফলাফল এসেছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ডব্লিউএইচও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছে, ওমিক্রনের একাধিক সাব ভ্যারিয়্যান্টের খোঁজ পাওয়া গেছে। এই ভ্যারিয়্যান্টগুলো হল বিএ.১, বিএ.১.১, বিএ.২ এবং বিএ.৩। ইতোমধ্যেই বিশ্বে দাপট দেখাচ্ছে ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্ট। কিন্তু, এই সমস্ত সাব ভ্যারিয়্যান্টগুলির মধ্যে বিএ.২ ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণ অনেক বেশি এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কারকোভ বলেন, অন্যান্য সাব ভ্যারিয়্যান্টের তুলনায় বিএ.২ অনেক বেশি সংক্রামক। তবে ওমিক্রন ডেলটার থেকে কম ভয়াবহ। ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে অনেককেই এখনও হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। এছাড়াও করোনাভাইরাস কোনও সাধারণ ঠান্ডা লাগা নয়। এখনও সাধারণ মানুষের সাবধান থাকা প্রয়োজন। সূত্র : বিবিসি নিউজ, আলজাজিরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।