গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ফের চায়ের দোকানের আড়ালে দেহব্যাবসা করার অপরাধে পতিতা সর্দারণী সহ চার নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রামশীল বাজারের উত্তর পাশে পলি সরকারের চায়ের দোকান ও বসতবাড়ীতে। পুলিশ জানায় রামশীল গ্রামের অজয় বালার স্ত্রী পলি সরকার রামশীল বাজারের উত্তর পাশে চায়ের দোকানের আড়ালে নারীদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করছে এমন খবর পেয়ে গতকাল সোমবার ভাঙ্গারহাট নৌতদন্ত কেন্দ্রের এসআই জামাল মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে পতিতালয়ের সর্দারণী সহ চার নারী যৌনকর্মিকে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশের উপস্হিতি টের পেয়ে খদ্দেররা পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার রামশীল গ্রামের অজয় বালার স্ত্রী পতিতালয়ের সর্দারণী পলি সরকার (৩৭) মাদারীপুর সদর উপজেলার গোলাবড়ি গ্রামের তৈয়াব আলী মুস্নীর স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (২৭) একই জেলার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট গ্রামের যগিন্দ্র নাথ বাড়ৈর স্ত্রী শিখা বাড়ৈ(২৭) ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চাপাইল গ্রামের নয়নের স্ত্রী সাবিনা বেগম (৩০) গ্রেফতারকৃতদের আজ মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান জানান অসামাজিক কার্যকলাপ করার অপরাধে গতকাল পুলিশ অভিযান চালিয়ে রামশীল বাজারের উত্তর পাশে পলি সরকারের চায়ের দোকান ও বসতবাড়ী থেকে পতিতার সর্দারণী পলিসরকার সহ চার নারীকে আটক করে ২৯০ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। স্হানীয়রা বলেন পলি সরকার কয়েকজন স্বামী পরিবর্তন করে এখন বিভিন্ন এলাকার নারীদের দিয়ে চায়ের দোকানের আড়ালে দীর্ঘ দিন ধরে দেহব্যাবসা করে আসছে ফলে এলাকার যুবসমাজ ধংশের মুখে পতিত হচ্ছে। তারা আরো বলেন কয়েকদিন আগে পলি সহ তিন নারী যৌনকর্মি ও এক খদ্দেরকে আটক করে পুলিশ।পরে তারা আদালত থেকে ফিরে এসে সেই পলি সরকার চায়ের দোকানে আবার অসামাজিক কার্যকলাপ শুরু করে।