পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশে ৭ দফা ভোটের প্রথমটি গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটের হার ৫৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ। সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৭ সালে ৫৮টি আসনের মধ্যে ৫৩টিতেই জিতে ছিল বিজেপি।
প্রথম দফায় রাজ্যের ১১টি জেলার ৫৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হল। প্রার্থীর সংখ্যা ৬২৩। প্রথম দফায় নির্বাচনে ১৫৬ জন প্রার্থী ছিলেন যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা রয়েছে। প্রথম দফা নির্বাচনে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীরও ভাগ্য পরীক্ষা হচ্ছে। আগামী ১০ মার্চ ফলাফল ঘোষণা করা হবে। গতকাল উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ৫৭.৭৯ শতাংশ। আগ্রায় ৫৬.৫২, আলিগড়ে ৫৭.২৫ শতাংশ, ভগপতে ৬১.২৫ শতাংশ, বুলন্দশহরে ৬০.২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এদিন সমাজবাদী প্রার্টি প্রধান বলেছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোট দেওয়া বন্ধ ছিল। ইভিএম কাজ করেনি। মানুষকে অপেক্ষা করতে হয়েছে বলে একাধিক রিপোর্ট ছিল। কমিশনের উচিত ছিল, সুষ্ঠুভাবে ভোট নিশ্চিত করা।
মুজাফ্ফরনগরে ভোট দিচ্ছে পোলিং এজেন্টরাই, গুরুতর অভিযোগ তোলে সমাজবাদী প্রার্টি। নির্বাচন কমিশন এবং জেলা প্রশাসনকে এই বিষয়ে নজর দিতে বলেছেন তারা।
ভুয়া ভোটের অভিযোগে সমাজবাদী পার্টি-বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে মিরাঠির কিঠৌর বিধানসভা কেন্দ্রে। বচসা থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠি নিয়ে এগিয়ে আসে পুলিশ।
নির্বাচনের প্রথম দিনই উত্তরপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। উত্তরপ্রদেশ থেকে সেই আঁচ ছড়িয়ে পড়ল বাংলায়। তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস একযোগে বিরোধী দলগুলো কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে এ নিয়ে। এভাবেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা লড়াইয়ে ঢুকে পড়ে বাংলাও।
এদিন ভোরেই বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তিনি বলেন, ‘একটা কথা আপনাদের মন থেকে বলতে চাই, গত পাঁচ বছরে বহু দুর্দান্ত কাজ আমরা করেছি। যদি আপনারা আমাদের আর সুযোগ না দেন, তাহলে এই পাঁচ বছরের পরিশ্রম বৃথা যাবে। উত্তরপ্রদেশ, বাংলা, কেরল বা কাশ্মীরের মতো হয়ে যেতে একেবারেই বেশি সময় লাগবে না। আপনাদের ভোট আমাদের জন্য আশীর্বাদ। আপনাদের ভোটই ভয়হীন জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পারে’। কেরল এবং বাংলাকে কাশ্মীরের সঙ্গে একাসনে বসিয়ে যোগীর ইঙ্গিত, কাশ্মীরের মতোই বাংলা এবং কেরলের মানুষ ভীতি নিয়ে জীবনযাপন করেন।
এভাবে বাংলার নাম নেওয়ায় ক্ষোভ ফুঁসে উঠেছেন বঙ্গের রাজনীতিবিদরা। যোগীর এ মন্তব্যকে তাচ্ছিল্যের সুরেই উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। তার মন্তব্য, ‘যোগী ভয় পেয়েই এ ধরনের মন্তব্য করছেন। বুঝতেই পারছেন, এবার তাঁদের হার আসন্ন’। যোগীর এ ধরনের মন্তব্যের পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। অধীরের মন্তব্য, ‘অধমপ্রদেশ হয়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ। যোগীর মন্তব্যই তার প্রমাণ’। সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বাংলার কথা উল্লেখ করে বঙ্গবাসীর মধ্যে বিভাজন ধরাতে চাইছেন উনি। অত্যন্ত নিন্দনীয় মন্তব্য এবং এতেই বিজেপির অ্যাজেন্ডা স্পষ্ট হয়’। সিপিএমের আরেক নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, ‘ভোটের দিন এভাবে মানুষজনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে যোগী আদিত্যনাথ। এখন নির্বাচন কমিশন চুপ কেন? উত্তরপ্রদেশবাসীর কাছে আবেদন, আপনারা বিজেপি বিরোধিতায় প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এশিয়ানেট নিউজ, আনন্দবাজার পত্রিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।