পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাইনবোর্ড ও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রাজধানীর তেঁতুলতলা মাঠ দখলে নিয়েছে কলাবাগান থানা পুলিশ। শুধু তাই নয়, ওই মাঠে খেলতে যাওয়া শিশুদের নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কলাবাগান থানার এসআই নয়ন সাহা ও তিন কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া গতকাল বিকেলে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
জানা গেছে, খেলতে যাওয়া শিশুদের কান ধরে উঠবস করিয়েছে কলাবাগান থানা পুলিশের সদস্যরা। আর তার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারন করে ওই মাঠে পুনরায় খেলতে যেতে শিশুদের নিষেধ করা হয়। কোমলমতি শিশুদের ওপর পুলিশের এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় যে পুলিশ সদস্যরা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ৩১ জানুয়ারি তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন নির্মাণের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ওইদিন দুপুরেই থানা পুলিশের ১০-১২ জন সদস্যের উপস্থিতিতে মাঠের চারপাশে তারকাঁটার বেড়া দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার পুলিশ সদস্যরা মাঠে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সময় শিশুরা খেলা থামায়নি। সেদিন রাতে ওই শিশুদের খুঁজে বের করে মাঠের সামনে এনে কান ধরে উঠবস করায় পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া ওই শিশুরা যাতে মাঠে আর খেলতে না যায় সেজন্য নির্যাতনের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারন করে হুমকি দেওয়া হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ঢাকা জেলা প্রশাসক আদালতের মাধ্যমে এই মাঠটি পুলিশের কাছে দিয়েছে। যদি কোনো পুলিশ সদস্য মাঠে খেলার জন্য শিশুদের নির্যাতন করে থাকে তথ্য প্রমাণ পেলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরো বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি বিভাগীয় উচ্চপর্যায়ে তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ে কোনো অভিভাবকের অভিযোগ থাকলে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট ঢাকা জেলা প্রশাসনের এক নোটিসে বলা হয়, ডিএমপির কলাবাগান থানার নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য এই সম্পত্তি সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের ওই নোটিসে এই জমিকে পতিত জমি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ওই নোটিসের পর ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কলাবাগানের বাসিন্দা, পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন, সমাজকর্মী, উন্নয়নকর্মী, সাংস্কৃতিককর্মী ও শিশু-কিশোররা এই নোটিসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ জায়গার প্রকৃত মালিক মুক্তিযুদ্ধের পর আর দেশে ফেরেননি। তাই ওই জমি পতিত হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
জানা গেছে, বৃহত্তর কলাবাগান (উত্তর ধানমণ্ডি, লেক সার্কাস, বশির উদ্দিন রোড, কলাবাগান প্রথম ও দ্বিতীয় লেন) এলাকায় একমাত্র খেলার মাঠ এটি। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই উত্তর ধানমণ্ডিতে অবস্থিত একটি উন্মুক্ত খেলার মাঠ হিসাবে পরিচিত তেঁতুলতলা মাঠ। কিন্তু এখানে বর্তমানে কলাবাগান থানার নিজস্ব একটি বহুতল ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই এলাকাবাসী মাঠ রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছে এবং মাঠ রক্ষায় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনায় এই মানববন্ধন করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।