পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই অংশে উল্টোপথে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। মহাসড়কে তিন চাকার ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও মীরসরাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিপদজনক এ সকল যান। সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়ক সংশ্লিষ্ট বাজারগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার আনাগোনা বেশি। ইউটার্ন ব্যবহার না করে উল্টোপথে চলার কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। গতকাল রোববার সকালে মহাসড়কের বারইয়ারহাট পৌরসভার দক্ষিণ পাশের ইউটার্নে একসাথে চলতে দেখা যায় ৮-১০টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। মহাসড়কের ইউটার্ন দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে হওয়ায় তারা একই পথে আসা যাওয়া করে।
মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছাড়াও বাড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ যন্ত্রচালিত নসিমন করিমনের চলাচল। ব্যাটারিচালিত রিকশার দাম কম ও ভাড়া বেশি হওয়ায় অনেকে এটিকে নতুন ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। এতে করে সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে দেশের মূল্যবান সম্পদ বিদ্যুৎ। মহাসড়কে তিন চাকার এসব ব্যাটারি চালিত রিকশা-অটোরিকশা চলাচলের কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে প্রাণহানিসহ আহতের ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই। অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
বারইয়াহাট পৌর বাজার, মীরসরাই পৌর বাজার, বড়তাকিয়া বাজার, নিজাপুর বাজারে মহাসড়কের উপরেই পার্কিংয়ে রাখা হয় এই সব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। ছাড়াও উপজেলার বারইয়াহাট-রামগড় সড়ক, বারইয়াহাট-শান্তিরহাট সড়ক, মিঠাছড়া-বামনসুন্দর দারোগাহাট সড়ক, ঠাকুর দিঘী-ঝুলনপোল সড়ক, জোরারগঞ্জ-আবুরহাট সড়ক, জোরারগঞ্জ-টেকেরহাট সড়ক, মীরসরাই পৌর বাজার-কালামিয়ার দোকান, মীরসরাই পৌরসভার-ব্র্যাক খামার, নিজামপুর-ভোরেরবাজার সড়ক, বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়ক, সড়কে এসব গাড়িগুলো বেশি চলাচল করে বলে জানা গেছে।
প্রকাশ্যে হাইওয়ে পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশের সামনে দিয়ে হরহামেশা এসব অবৈধ অটোরিকশা চলাচল করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে দাবি সচেতন মহলের। তবে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অটোরিকশাা ধরলেও অর্থের বিনিময়ে তা ছেড়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর হাইওয়ে পুলিশ বলছে এদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আটকসহ মামলা করা হচ্ছে। জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ইনচার্জ একেএম শরফুদ্দিন বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।