মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ দেশটির পরবর্তী রানির নাম জানিয়েছেন। তার ইচ্ছা. যখন প্রিন্স চার্লস রাজা হবেন তখন যেন ডাচেস অফ কর্নওয়াল ‘কুইন কনসর্ট’ বা আনুষ্ঠানিকভাবে রানী হিসাবে পরিচিত হন।
তার রাজত্বের ৭০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া একটি বার্তায়, রানী বলেছিলেন যে এটি তার ‘আন্তরিক ইচ্ছা’ ছিল যে ক্যামিলা এই উপাধি পাবে। রানী হচ্ছেন প্রথম ব্রিটিশ শাসক যিনি প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন করছেন। ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তার বাবা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর তিনি ২৫ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন।
এত দিন ধারণা করা হচ্ছিল, প্রিন্স চার্লস রাজা হলে কুইন নয়, প্রিন্সেস কনসর্ট হিসেবে পরিচিত হবেন ক্যামিলা। কিন্তু রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আচমকা এমন ঘোষণার মাধ্যমে মৃত্যুর পর তার ছেলে প্রিন্স চার্লস রাজা হলে ক্যামিলার রানি উপাধি পাওয়ার পথ প্রশস্ত হলো। রাজপ্রাসাদ ক্লারেন্স হাউসের এক মুখপাত্র বলেন, রানির এমন ঘোষণায় প্রিন্স অব ওয়েলস ও ডাচেস অব কর্নওয়াল ‘আপ্লুত ও সম্মানিত’ বোধ করছেন।
১৯৫২ সালে সিংহাসনে আরোহণের বার্ষিকীতে সরাসরি ঘোষণা দিয়ে ডাচেস অব কর্নওয়ালের ভবিষ্যৎ পদবি নিয়ে অমীমাংসিত প্রশ্নের সমাধান করলেন রানি। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ওই বার্তায় লিখেছেন, ‘এটা আমার খুব আন্তরিক ইচ্ছা, যখন সময় আসবে, তখন ক্যামিলা কুইন কনসর্ট হিসেবে পরিচিত হবেন।’
সিংহাসনে যে রাজা থাকেন, তার স্ত্রীকে ‘কুইন কনসর্ট’ বলা হয় এবং এর অর্থ হলো ক্যামিলার ভবিষ্যৎ পদবি হবে ‘রানি ক্যামিলা’। তবে পুরুষ কনসর্টের ক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। যেমন প্রিন্স ফিলিপ অথবা রানি ভিক্টোরিয়ার স্বামী প্রিন্স আলবার্ট রাজা নয়, বরং প্রিন্স কনসর্ট ছিলেন। প্রিন্স চার্লস রাজা হলে ক্যামিলার স্বয়ংক্রিয়ভাবে রানি হওয়াই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু জনমতে অনিশ্চয়তার কারণে এমন নাও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
২০০৫ সালে বিয়ে করার আগে চার্লস ও ক্যামিলা দুজনেরই বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। চার্লস এর আগে প্রিন্সেস ডায়ানাকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু প্যারিসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় ডায়ানা মারা যাওয়ার এক বছর আগে ১৯৯৬ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। আর ক্যামিলার আগের স্বামী ছিলেন ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু পার্কার বোলস। ১৯৭৩ সালে তাদের বিয়ে হয় এবং ১৯৭৫ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল।
চার্লস ও ক্যামিলার বিয়ের সময় ধারণা ছিল যে ক্যামিলা প্রিন্সেস কনসর্ট হিসেবেই পরিচিত হবেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তার পদবি নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়তে থাকে। রানির হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ক্যামিলার রানি হওয়ার পথে বাধা কেটে গেল। এর মধ্য দিয়ে এখন প্রিন্স চার্লসের পাশাপাশি তিনি পূর্ণ রাজকীয় মর্যাদা নিয়ে চলবেন।
এর আগে রানী ক্যামিলাকে ‘অর্ডার অফ দ্য গার্টার’ উপাধিতে ভূষিত করেন। বর্তমানে ৭৪ বছর বয়সী ক্যামিলা বিভিন্ন সামাজিক ও দাতব্য কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও গার্হস্থ্য নির্যাতনের শিকার নারীদের সমর্থন দেয় এমন বেশ কিছু দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক তিনি। সূত্র: সিবিএস নিউজ, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।