যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
সবাই কমবেশি রান্না করা খাবার ফ্রিজে রাখেন। বিশেষ করে রাতে বেঁচে যাওয়া খাবার তুলে রাখা হয় ফ্রিজে। দেখা যায় বেশ কয়েকদিন ধরে সেই খাবার ফ্রিজেই রয়ে গেছে।
অনেকেই তা এক সপ্তাহ পরও বের করে খান। আবার কোনো কোনো খাবার নষ্টও হয়ে যায় সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করার কারণে।
কর্মব্যস্ত এই জীবনে এখন বেশিরভাগ মানুষই একবার রান্না করে ফ্রিজে রেখে রেখে তিন দিন খান! একই খাবার প্রতিদিন ফ্রিজ থেকে বের করেন বা গরম করে খান।
তবে অনেকেরই জানা নেই যে, আদৌ কতদিন পর্যন্ত রান্না করা খাবার কতদিন ফ্রিজে রাখা যায়। জেনে নিন কোন খাবার কতদিন পর্যন্ত ফ্রিজে সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়-
> ভাত আমাদের সবারই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকে। অনেকেই বেঁচে যাওয়া ভাত ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন। পরে আবার তা বের করে গরম করে খান।
তবে জানেন কি, ভাতের মধ্যে স্টার্চের ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত থাকে। যদি দুদিনের মধ্যে ওই ভাত খাওয়া হলো তা শরীরে কোনো ক্ষতি করবে না।
> ভাতের মতো রুটিও বেঁচে গেলে অনেকেই ফ্রিজে রাখেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই রুটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে ফেলতে হবে।
আর যদি রুটিতে হালকা ঘি ব্রাশ করে রাখেন তাহলে ২৪ ঘণ্টার পরও খেতে পারবেন। ঘি রুটিতে আর্দ্রতা ধরে রাখে, সহজে শুকিয়ে যেতে দেয় না।
> কাঁচা ফল ও সবজি দিয়ে তৈরি সালাদ বেশি হয়ে গেলে অতিরিক্তটুকু ফ্রিজে রাখেন নিশ্চয়ই! তবে কাঁচা সালাদ ফ্রিজে রাখলে ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই সব সময় টাটকা সালাদ খান।
> পাস্তা চিজ ও সস দিয়ে যদি তৈরি করা হয় তাহলে কখনো তা ফ্রিজে রাখবেন না। এর চেয়ে বরং আপনি পাস্তা সেদ্ধ করে আলাদা আলাদাভাবে ফ্রিজে রাখুন। তবে রান্না করা পাস্তা ফ্রিজে রাখলে তা স্বাস্থ্যের জন্য হতে পারে ক্ষতিকর।
> একবার ডাল রান্না করে বেশ কয়েকদিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখেন কমবেশি সবাই। তবে মনে রাখবেন, ভালো করে ডাল সংরক্ষণ না করা হলে তা খাওয়া যাবে না।
সব সময় ডাল সংরক্ষণ করতে হবে এয়ারটাইট পাত্রে। পরবর্তী সময়ে তা বের করলেও ঠিক যতটুকু খাবেন ততটুকুই গরম করে বাকিটা আবারও তুলে রাখুন ফ্রিজে।
> বিশেষজ্ঞদের মতে, সবজির তরকারি তিন দিনের বেশি ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। চেষ্টা করতে হবে দুদিনেই শেষ করার।
কারণ দুদিন পর থেকে এর পুষ্টি কমতে শুরু করে। বিশেষ করে যেসব সবজিতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে সেগুলো দ্রুত খেয়ে শেষ করুন।
> মাছ-মাংসেও প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এসব খাবারও রান্না করা অবস্থায় ১-২ দিনের বেশি ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
> অন্যদিকে ডিমের তৈরি তরকারি যেদিন রান্না করবেন সেদিনই খেয়ে ফেলুন। আর যদি ফ্রিজে রাখেন তাহলে পুনরায় গরম করবেন না। এতে ক্ষতিকর ব্যাকরিয়া বেড়ে যাবে।
সূত্র: হেলথলাইন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।