কীর্তিতে ভাস্বর তিনি
আজ মাওলানা এম এ মান্নানের ইন্তেকাল দিবস। বিষাদময় এই দিনটি এলেই সর্বত্র তাঁকে নিয়ে বিশেষভাবে
মাওলানা মান্নান
নয়- কেবলই একটি নাম।
এ নামের মাঝে নিহিত রয়েছে অসীম সম্মান।
স্বার্থত্যাগের উপমায় এই নাম মহিয়ান।
মাওলানা মান্নান
মানব কল্যাণে সদা উৎসর্গ যার সারা দিনমান।
অসহায় আর দুস্থ মানুষ তার সান্নিধ্যে পেত মঙ্গলবারতা।
চিন্তিতহৃদে প্রশান্তির দোলা
এ সবই যেন স্বয়ং বিধাতা করেছে দান।
মাওলানা মান্নান
এ নামের সাথে আছে শিক্ষা-সংস্কৃতির সুঘ্রাণ।
আছে এ নামে শুষ্ক বৃক্ষের মাঝে সুপ্ত প্রাণ।
উপদেশে তার কতনা ঝঞ্ঝা-বিপত্তি আর ক্ষুব্ধতা হতো ম্লান।
চির শত্রুকে মিত্র রূপে গড়তে আপন হাতে,
মান অভিমান ঘুচিয়ে দিয়ে নব বন্ধনে জুড়ে নিতে।
মাওলানা মান্নান
বঞ্চিত কোণঠাসা জাতির সম্মান পুনঃ গড়তে,
সদা রাজপথে তুমি বীরদর্পে সৈনিক রূপে লড়তে।
বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দিয়ে, দ্বীনি শিক্ষার ঝান্ডা উড়িয়ে,
ছিনিয়া এনেছ বিজয় কেতন সহস্র বাধা মাড়িয়ে।
তারই সুবাদে মাথা উঁচিয়ে জমিয়াত আছে দাঁড়িয়ে।
তাইতো তুমি মরেও অমর শিক্ষককুল হৃদয়ে।
মাওলানা মান্নান
দূরদর্শিতা নিপুণ প্রজ্ঞা এবং অতুল জ্ঞানে
রাষ্ট্র তোমাকে করিল আসিন মন্ত্রীর সম্মানে।
অহংকার আর প্রাচুর্য সব ভেঙে করে চুরমার,
জনতার সাথে মিলেমিশে হলে তুমি একাকার।
ছিল না কখনো তোমার অন্তরে দাম্ভিকতা ও জেদ
কিষাণ-মজুর, উঁচুনিচু জাতে কর নাই ভেদাভেদ।
মাওলানা মান্নান
নয়- কেবলই একটি নাম।
এ নামে রয়েছে ন্যায়বিচার আর সত্যের অলঙ্কার।
সাম্যমৈত্রী মানবাধিকারে রাঙানো যে চারিধার।
বরকতময় তোমারই হাতে জন্মিল ইনকিলাব।
বস্তুনিষ্ঠতা গুণে ভূষিত, জানে না সে পরাভব।
সৌহার্দে আতিথেয়তায় কে হবে তোমার তুল্য?
সারা বিশ্বের স্বর্ণ রৌপ্যে মিটবে না তার মূল্য।
হে মহাত্মন, তুমি নেই আজ, নেই ঐক্যের প্রাসাদ
যে দিকে তাকাই ধু ধু প্রান্তর মনের মধ্যে বিস্বাদ।
তোমার শূন্যতা পাবে কবে পূর্ণতা ভাবি শুধু হায়,
জানি কভু ফিরবে না, তবু কেমন করে যেন সময় বহিয়া যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।