মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চিঠিটা সময় মতো পেলে হয়ত তাদের মিলন হতো৷ কিন্তু চিঠি পোস্ট অফিসে পড়ে থাকায় বিচ্ছেদেই কেটে গেল সারাটি জীবন৷ চিঠিটা পেয়ে ক্লোনোভস্কার মন খারাপ৷ তার মনে হয়েছে, ‘‘এ চিঠি না পাওয়ায় এতদিন তো জীবন থেমে থাকেনি৷ কিন্তু এতদিন পর কোনো প্রেমিকার হাতে যদি এমন কোনো চিঠি যায়, যার সেই প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে হয়নি, কেমন লাগবে তার?’’
লিথুনিয়ানিয়ায় সাড়া জাগিয়েছে ১৮টি চিঠি৷ ১৮টির একটি পেয়েছেন ক্লোনোভস্কা৷ যে চিঠি হাতে আসার কথা স্কুলে পড়ার সময়, তা এলো ক্লোনোভস্কার বয়স ৬২ হওয়ার পরে৷ খাম খুলতে খুলতে ক্লোনোভস্কা তাই ভাবছিলেন, ‘‘কেউ নিশ্চয়ই প্র্যাঙ্ক করেছে৷’’ কিন্তু খাম খুলে দেখেন, রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি করা একটা গোলাপ আর দুটো কাগজের পুতুলও রয়েছে চিঠির সঙ্গে৷ উপহারগুলো দেখে ৫০ বছর আগের অতীতে হারিয়ে গেলেন ক্লোনোভস্কা৷
জুর্গিস ভিলুটিস অন্যের কথা শুনলে কিন্তু চিঠিগুলো স্মৃতির অতলেই তলিয়ে যেতো৷ লিথুনিয়ার ভিলনিউস শহরের উপকণ্ঠের যে বাড়িটি ১৯৭০-এর দশকে ছিল পোস্ট অফিস, সেটা ভেঙে নতুন করে গড়ছিলেন ভিলুটিস৷ একটা দেয়াল ভাঙার সময় ভেন্টিলেটর থেকে ঝুপ করে পড়ে ১৮টি চিঠি৷ ময়লা, ভাঁজ পড়া খামগুলো নির্মাণ শ্রমিকরা ফেলে দিতে চেয়েছিলেন৷ ভিলুটিস শ্রমিকদের বাধা দিয়ে ফোন করেন ডাক বিভাগকে৷
একটি চিঠির প্রাপক বললেন, ‘‘আমার তো মনে হচ্ছে, কেউ বুঝি বোতলে ভরে সাগরে ফেলে দিয়েছিল, তাই এতদিনে হাতে এলো সেই চিঠি৷’’ তবে ভিলুটিসের ধারণা, ডাক বিভাগের কোনো অসৎ কর্মী হয়ত ভেতরে মূল্যবান কিছু আছে মনে করে চিঠিগুলো খুলেছিলেন৷ কিন্তু পরে তেমন কিছু না পাওয়ায় সেগুলো তিনি ভেন্টিলেটরে লুকিয়ে রাখেন৷
তখন লিথুয়ানিয়া ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তুর্ভুক্ত৷ স্বাধীন দেশে ভিলনিউস শহর এখন একেবারে বদলে গেছে৷ রাস্তার নাম, বাড়ির নাম্বার- সবই নতুন৷ ১৮ চিঠির মাত্র পাঁচজন প্রাপক বেঁচে আছেন৷ ক্লোনোভস্কাকে পোল্যান্ডের ইউয়া লিখেছিল, ‘‘জানো, আমাদের গ্রামে এখন আর বাস আসে না৷ মাইনাস ২৩ ডিগ্রিতেও হেঁটে স্কুলে যেতে হয়৷ আচ্ছা, আমাকে কয়েকজন অভিনেতার ছবি পাঠিয়ো তো!’’ ইউয়াকে ক্লোনোভস্কার আর মনে পড়ে না!
তখন লিথুয়ানিয়া ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তুর্ভুক্ত৷ স্বাধীন দেশে ভিলনিউস শহর এখন একেবারে বদলে গেছে৷ রাস্তার নাম, বাড়ির নাম্বার- সবই নতুন৷ ১৮ চিঠির মাত্র পাঁচজন প্রাপক বেঁচে আছেন৷ ক্লোনোভস্কাকে পোল্যান্ডের ইউয়া লিখেছিল, ‘‘জানো, আমাদের গ্রামে এখন আর বাস আসে না৷ মাইনাস ২৩ ডিগ্রিতেও হেঁটে স্কুলে যেতে হয়৷ আচ্ছা, আমাকে কয়েকজন অভিনেতার ছবি পাঠিয়ো তো!’’ ইউয়াকে ক্লোনোভস্কার আর মনে পড়ে না! সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।