মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রোলেক্সের নাম শুনেই নিশ্চয় কপাল কুঁচকে গেছে আপনার। ভাবছেন উগান্ডার সঙ্গে রোলেক্স কথাটা কীভাবে যায়। সুইজারল্যান্ডের পৃথিবী বিখ্যাত ব্র্যান্ড রোলেক্সের ঘড়ির কথা জানে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে সেই রোলেক্স নিয়ে গিনেস বুকে উগান্ডার বিশ্বরেকর্ড হলো কীভাবে!
আসলে উগান্ডায় রোলেক্স হচ্ছে জনপ্রিয় এক খাবারের নাম। যা আপনি উগান্ডার রাস্তায় রাস্তায় দেখতে পাবেন। একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড সেখানকার। উগান্ডার সর্বত্র রাস্তার ধারের খাবার স্টলে পাবেন এই জনপ্রিয় নাস্তা 'রোলেক্স'। চাপাটিতে মোড়া নানাধরনের সবজি দিয়ে তৈরি ওমলেট, সাথে টমেটোর কুচি।
উগান্ডার মানুষের মুখে মুখে শুনবেন একটা কথা, রোলেক্স আমরা পরি না, আমরা খাই!" রোলেক্স দেশটির অতি জনপ্রিয় একটি নাস্তা। সোজা কথায় চাপাটিতে মোড়ানো ডিম ভাজি।
সম্প্রতি গিনেস বুক উগান্ডার একটি রোলেক্সকে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করা রোলেক্সের মর্যাদা দিয়েছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম রোলেক্সে। এর ওজন ২০৪.৬ কিলোগ্রাম এবং দৈর্ঘ্য ২.৩২ মিটার বা ১০ ফুট ৬ ইঞ্চি।
বিশাল ওজনের এই রোলেক্স তৈরি করতে লেগেছে ১ হাজার ২০০টি ডিম দিয়ে, তার সঙ্গে ৯০ কেজি সবজি, পেঁয়াজ, টমেটো, বাঁধাকপি, গাজর আর ক্যাপসিকাম। ৭২ কেজি ময়দা আর ৪০ কেজি রান্নার তেল।
এই বিশাল পরিমাণ ডিম রাস্তার ধারের দোকানে বসে ফেটানো অসম্ভব। সেটা হয়ওনি। ৯০ কেজি ওজনের সবজি কুচি মেশানো বারোশ' ডিম ফেটাতে লাগানো হয়েছে ৬০ জন মানুষকে।
উগান্ডার ইউটিউব তারকা রেমন্ড কাহুমা ডিম ভাজা আর চাপাটি বানানোর জন্য পাচকদের পরিচালনা করেছেন। ডিম ফেটানো, সবজি কাটা, ময়দা মাখা ও ডিম ভাজার জন্য তাদের সময় লেগেছে ১৪ ঘণ্টা। সমস্ত আয়োজন করা হয়েছে রাজধানী কাম্পালার বাইরে অস্থায়ী এক রান্নাঘরে।
বিশাল এই রন্ধনযজ্ঞের চ্যালেঞ্জ কিন্তু ছিল ব্যাপক। এর সঙ্গে জড়িত ছিল একদিকে পদার্থবিদ্যায়, অন্যদিকে রন্ধনশৈলীতে পারদর্শিতা। এখানে তো শুধু রাঁধতে জানলেই চলবে না।
৭২ কেজি ওজনের ময়দা মাখা ডেলাটাকে কীভাবে না ভেঙে তাওয়ায় তোলা হবে, এমনকি প্রকাণ্ড রোলেক্সটাকে অক্ষত রেখে কীভাবে ওজনের জন্য দাড়িপাল্লায় তোলা হবে এসব চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় পদার্থবিদ্যার জ্ঞানেরও প্রয়োজন ছিল।
এই ধরনের একটি উদ্যোগ ২০২০ সালে একবার নেওয়া হয়েছিল। তবে করোনার কারণে ভেস্তে যায় সেই আয়োজন। সেবার তিন হাজার ডলার খরচ হয়েছিল।
উগান্ডার খাবারের মেন্যুতে রোলেক্স প্রথম জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যখন কাম্পালার মেকেরেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষুধার্ত শিক্ষার্থীদের পেট ভরাতে একজন দোকানি এই খাবারটি প্রথম বিক্রি শুরু করেন। এর পর রোলেক্সের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে দেশটির বিভিন্ন শহরে।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।