যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
ওজন কমাতে চান? তাহলে আপনাকে কিছু বিষয়ের প্রতি সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হতে হবে। এর মধ্যে রুটিন মেনে শরীরচর্চা ছাড়াও খেয়াল রাখতে হবে খাবারের দিকে। কারণ আপনার স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই খাবার। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আপনি কোন ধরণের খাবার পছন্দ করেন এবং আপনার খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আপনি যদি সত্যিই ওজন কমানোর অপেক্ষায় থাকেন, তাহলে আপনার খাবার নির্ধারণের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। কিছু খাবার অত্যন্ত সুস্বাদু। কিন্তু সেগুলোর প্রলোভনে পড়া যাবে না। কারণ সুস্বাদু হলেও সেগুলো ওজন বাড়িয়ে দেয় দ্রুত। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে। সেইসঙ্গে জেনে নিন সেসব খাবারের বদলে কী খাবেন-
লাল মাংস
লাল মাংসে প্রোটিন, ভিটামিন বি -১২ এবং আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি রয়েছে। এটি অতিরিক্ত খেলে তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এটি হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং আরও অনেক কিছুর ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সেইসঙ্গে এটি ওজন বৃদ্ধির কারণও হতে পারে, যে কারণে এর স্বাস্থ্যকর বিকল্প খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
লাল মাংসের পরিবর্তে, আপনি প্রোটিনের অন্যান্য স্বাস্থ্যকর উত্সগুলো বেছে নিন। সামুদ্রিক খাবার, হাঁস-মুরগি এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য আপনাকে পর্যাপ্ত পুষ্টি দিতে পারে, পাশাপাশি আপনার স্বাস্থ্য এবং ওজনের ওপরও নজর রাখে। নিরাপদে ওজন কমানোটাই গুরুত্বপূর্ণ, কোনো খাবার সম্পূর্ণরূপে বাদ দেবেন না।
রিফাইন্ড শস্য
রিফাইন্ড শস্যের পরিবর্তে, আস্ত শস্য বেছে নিন যা স্বাস্থ্যকর। ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবার আপনার হজমের স্বাস্থ্যের জন্যও দুর্দান্ত। একটি শস্য সম্পূর্ণ হলে সেটি তুষ, জীবাণু এবং এন্ডোস্পার্ম নিয়ে গঠিত থাকে। যার মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। পরিশোধন প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে শস্যটি এর স্বাস্থ্যকর উপাদান থেকে বঞ্চিত হয়। এতে সামান্য পুষ্টি থাকে বা কোনো পুষ্টিই থাকে না। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ার পাশাপাশি ওজন বাড়াতেও ভূমিকা রাখতে পারে। আস্ত শস্য পুষ্টিতে পূর্ণ এবং হজমের জন্য দুর্দান্ত। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে এবং আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ রাখে, ওজন কমাতে সহায়তা করে।
কোমল পানীয়/সোডা
চিনি বা মিষ্টিযুক্ত যেকোনো কিছু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং ক্যালোরিতে পরিপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই এটি আপনার ওজন বাড়ায়, যা আপনাকে স্থূলতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই মিষ্টিযুক্ত পানীয় পান করার পরিবর্তে, ডিটক্স পানীয়, গ্রিন টি পান করুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পর্যাপ্ত পানি পান করা। আপনার ওজন কমানোর লক্ষ্যে সাহায্য করার সর্বোত্তম উপায় হলো হাইড্রেটেড থাকা। প্রচুর পানি পান করুন। এটি আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে, বেশি খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমাবে।
ডেজার্ট
মিষ্টি এবং চকোলেট এমন একটি জিনিস যা প্রত্যেকে পছন্দ করে। এগুলো কিন্তু আপনার ওজন বৃদ্ধির সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। আপনি যদি মিষ্টি খাবারের প্রতি লোভ দূর করতে চান তবে প্রতিবার কয়েক স্কোয়ার ডার্ক চকোলেট খান। গবেষণায় দেখা গেছে যে ডার্ক চকোলেট খেলে তা মেজাজকে উন্নত করতে পারে, হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আপনার আকাঙ্ক্ষাও কমাতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।