বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স চালকের সাথে অন্য আরেকটি হায়েচ মাইক্রোবাসের চালকের বিবাদের জের ধরে এ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় ভিতরে ছটফট করতে করতে নয় বছরের শিশু আফসানার মৃত্যুর ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে তাদের ৫ দিনের হেফাজত চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর থানার দোপাকান্দী গ্রামের আব্দুর রহমান খানের ছেলে হানিফ খান (৪০) ও টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের খুপিবাড়ি গ্রামের মৃত সুরুজ মন্ডলের ছেলে মোঃ ইমরান (২৫)। তারা দুইজনই আশুলিয়ার বাইপাইলে বসবাস করে রেন্ট এ কারে গাড়ী চালায়।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে শিশুটির বাবা আলম মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। রাতেই দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তদন্তের স্বার্থে অন্যা ৫আসামির পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
তবে মামলার প্রধান আসামি হায়েচ মাইক্রোবাসের চালক নজরুল পলাতক রয়েছে। তার মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে।
এসআই সামিউল আরও বলেন, গ্রেপ্তার দুই জনকে ৫দিনের হেফাজত চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক আড়াই দিকে রাজধানীর মহাখালীর ক্যান্সার হাসপাতাল থেকে অসুস্থ্য শিশু আফসানাকে নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক হয়ে তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সড়কে ওভারটেকিং এর তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আশুলিয়ার বাইপাইলে পৌঁছালে চলন্ত অবস্থায় এ্যাম্বুলেন্সটির পিছনে থাকা একটি হায়েচ মাইক্রোবাস সামনে এসে গতিরোধ করে। পরে এ্যাম্বুলেন্সটি আটকে রাখায় ভিতরে ছটফট করতে করতে অসুস্থ্য শিশু আফসানার মৃত্যু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।