বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটে করোনার বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে আবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বহির্বিভাগ (আইটডোর) সেবা। সম্প্রতি করোনার প্রকোপ কম হওয়ায় পুনরায় শুরু হয়েছিল এ সেবা। কিন্তু পুনরায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়ার স্বার্থে আজ মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে ফের আউটডোর সেবা বন্ধ করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সিলেটের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে করোনা রোগীর চাপ। এ অবস্থায় মঙ্গলবার থেকে সিলেট করোনা আইসোলেশন সেন্টার শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে বন্ধ করা হয়েছে বহির্বিভাগ সেবা। দেড় বছরের বেশি সময় পর চলতি গত জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে হাসপাতালে এ সেবা চালু করা হয়েছিল। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল সিলেটের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে সেবা দেওয়া শুরু করে। এরপর থেকে করোনা আক্রান্ত ও করোনা উপসর্গ নিয়ে আনা রোগীদের অবিরাম চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালটিতে। গত বছর হাসপাতালটিতে করোনা রোগীতে পরিপূর্ণ ছিলো।
তবে গত অক্টোবরের পর থেকে সিলেটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় হাসপাতাল ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে। এই অবস্থায় নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগ পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেদিন থেকে শামসুদ্দিন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ (নারী-পুরুষ), সার্জারি, গাইনি এবং ডেন্টাল বিভাগে রোগী দেখার মধ্যে দিয়ে বহির্বিভাগ চালু হয়। পর্যায়ক্রমে দন্ত বিভাগ, চর্মরোগ বিভাগ, শিশু বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগ খুলে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ফের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্ধ করা হলো বহির্বিভাগ।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. মিজানুর রহমান। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বলেন, দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালটিতে। তাই আজ (মঙ্গলবার) থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বহির্বিভাগ সেবা। হাসপাতালটিতে আগের মতো করোনা রোগীদের জন্য ১০০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি আইসিইউ বেড রয়েছে। এ মুহুর্তে ৫৫ জন করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ১০ জন রোগী আইসিইউতে। এর মধ্যে বেশিরভাগেরই অবস্থাই সংকটপূর্ণ। ২০২০ সালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের শুরুর সময় কোনো আইসিইউ সুবিধা ছিলো না হাসপাতালটিতে। ছিলো না সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা। তবে বর্তমানে হাসপাতালে ১৬টি আইসিইউ ও ১০ হাজার লিটারের একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে। সেন্ট্রাল অক্সিজেন সেবাও রয়েছে এই হাসপাতালে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।