মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করলেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। তাদের মধ্যে গ্যাস, পরমাণু প্রকল্প-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
হাঙ্গেরি কি রাশিয়াপন্থি? নতুন করে এই প্রশ্ন উঠে এসেছে ইউরোপের রাজনীতিতে। কারণ, ইউক্রেন সংকট নিয়ে যখন কার্যত গোটা ইউরোপ রাশিয়া-বিরোধী অবস্থান নিয়েছে, ঠিক তখনই পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন ওরবান। তাদের আলোচনায় অবশ্য ইউক্রেন সমস্যার বিষয়টি প্রকাশ্যে উঠে আসেনি। বরং গ্যাস, পরমাণু প্রকল্পের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ইউরোপের কূটনীতি যখন ইউক্রেন নিয়ে কার্যত ফুটছে, তখন কেন রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসল হাঙ্গেরি?
২০১০ সালে হাঙ্গেরিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন ভিক্টর। প্রথম থেকেই পুতিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেছেন তিনি। ক্রাইমিয়ার যুদ্ধের পরে দেখা গেছিল, গোটা ইউরোপকে উপেক্ষা করে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ভিক্টর। বস্তুত, তার পর আবার ২০২২ সালে এসে পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন তিনি। এর থেকেই স্পষ্ট, রাশিয়া-হাঙ্গেরি বৈঠক কেবল একটি নিছক আলোচনা নয়, ইউরোপের কাছে একটি বার্তাও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি সাক্ষাৎকার পোস্ট করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সাম্প্রতিক উত্তেজনার কথা উঠেছিল। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর একলাইনের জবাব, তিনি শান্তির পক্ষে। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি কোন ব্লকে হাঙ্গেরিকে রাখছেন, তার কোনো স্পষ্ট জবাব দেননি তিনি।
ইউক্রেন নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ইউরোপে স্পষ্ট দুইটি ব্লক তৈরি হয়েছে। একদিকে ন্যাটোর নেতৃত্বে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানো একাধিক ইউরোপীয় দেশ। এবং অন্যদিকে রাশিয়া। আমেরিকাও ন্যাটোর পাশে। পরিস্থিতি প্রায় ঠান্ডাযুদ্ধের সময়ে গিয়ে পৌঁছেছে। যে কোনো সময় রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রায় প্রতিদিন প্রকাশ করছে ন্যাটোর দেশগুলি। এই পরিস্থিতিতে হাঙ্গেরির সঙ্গে রাশিয়ার বৈঠক কূটনৈতিকস্তরে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাশিয়ার কাছে আরো বেশি গ্যাস চেয়েছে হাঙ্গেরি। পাশাপাশি পাকিস্তানে যে পরমাণু প্রকল্প রূপায়ণ করছে রাশিয়া, মধ্য হাঙ্গেরিতে সেই প্রকল্প তৈরির আবেদন জানানো হয়েছে। আপাত চোখে দুইটি বিষয়ই সাধারণ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সাধারণ বিষয়গুলিই অন্য প্রশ্ন তুলছে।
বস্তুত, দুইদিন আগেই ইউরোপে বিকল্প গ্যাস সাপ্লাইয়ের খোঁজ করেছে আমেরিকা। রাশিয়ার গ্যাস বন্ধ করে দিলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কোথা থেকে গ্যাস যাবে, তা নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। নর্ডস্ট্রিম দুই বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে জার্মানি। কূটনীতিকদের একাংশের বক্তব্য, এরপর ন্যাটোর আলোচনায় হাঙ্গেরি কী ভূমিকা নেয়, সেটাই এখন দেখার। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।