পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ধীরগতির কারণ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের ট্যাকনিক্যাল কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
তিনি বলেন, ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতি ছিল। এতে ভোট কম পড়ছে। ষষ্ঠ ধাপে ৫৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। সচিব বলেন, মাঠ পর্যায়ের যে তথ্য পেয়েছি, তাতে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কোনো কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়নি। ব্যালট পেপারে ভোট বেশি পড়লেও ইভিএমে কম পড়ার কারণ কী এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবীর বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচ করে না। এতে ভোট দিতে অসুবিধা হয়। ধীর গতি হয়। আমারা নির্বাচনে আগে মক ভোট নিই। প্রত্যাশা থাকে ভোটাররা আসবেন। কিন্তু তারা অনেকে আসেন না। তাই ভোটের দিন কেন্দ্রে যখন তারা আসেন, তখন তাদের পুরো বিষয়টি বোঝাতে সময় লেগে যায়।
ভোটাররা যাতে অপেক্ষা করেন, ফেরত না যান সে জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মাঠ পর্যায় মতামত চেয়েছি। এছাড়া ট্যাকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যেই বৈঠকে বসব। কীভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণের গতি বাড়ানো যায়, ভোট পড়ার হার বাড়ানো যায়, তা নিয়ে বসব। তিনি আরও বলেন, আমরা যেটা দেখেছি, অনেক জায়গায় কাগুজে ব্যালটের পরিবর্তে নির্বাচনে ইভিএম চেয়েছে। এতে আইডি আর আঙ্গুলের ছাপ না মিললে কোনোভাবেই ভোট দেওয়া যায় না। এ কারণে মাঠ কর্মকর্তাদের ইভিএমের প্রতি ঝোঁক বেশি। আর কাগুজে ব্যালটের ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ। আর ইভিএমে প্রক্রিয়া বেশি জটিল। তবে মেশিনে কোনো জটিলতা নেই।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ২২টি জেলার ৪২টি উপজেলায় মোট ২১৮টি ইউপিতে ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচন হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ১৯৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৭ হাজার ৮৪৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ২ হাজার ৫৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১০০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৩২ জন; মোট ১৪৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।