প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালনকারী পীরজাদা শহীদুল হারুনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করে হেরে যাওয়া চিত্রনায়িকা নিপুণ। তিনি অভিযোগ করেছেন নির্বাচনের দিন তার কাছে দুটি চুমু চেয়েছেন পীরজাদা শহীদুল হারুন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পীরজাদা শহীদুল হারুন।
পীরজাদা শহীদুল হারুন সাংবাদিকদের জানান, এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, ‘এটা সত্য নয়। প্রকাশ্যে এমন কিছু করাটা কি স্বাভাবিক মনে হয় আপনাদের কাছে? এটা একটা ফান করেছি। ফানটাকে সবার সামনে নিয়ে আসা নিপুণের ঠিক হয়নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের পরেই সংবাদ সম্মেলনে আপনাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সেখানে আমি পরিষ্কার বলেছি, কিছু মৌখিক অভিযোগ আমার কাছে এসেছিল এবং সঙ্গে সঙ্গে আমি সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে নির্বাচন পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে নিপুণ অভিযোগ করে করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন ভোটের দিন সকালে আমার কাছে দুইটা চুমু চেয়েছিলেন। সেখানে আমাদের প্যানেলের জেসমিন ছিল।’ ক্রোধ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘তাকে (পীরজাদা হারুন) থাপড়ানো উচিত। তাকে সিনেমা নাটকে কোনোদিন না নেওয়া উচিত।’
একটি চক্রের কথা উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘এখানে জায়েদ খান, এফডিসির এমডি, আর নির্বাচন কমিশনার পীরজদা হারুন একটা চক্র। তারা সবাই মিলে জায়েদ খানকে জিতিয়ে দিয়েছে। তারা টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে ভিডিওতে সেটা দেখা গেছে।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে পরাজিত হন চিত্রনায়িকা নিপুণ। ফলাফলে অসন্তোষ জানিয়ে ভোট পুনর্গণনার জন্য আপিল করেন নিপুণ। কিন্তু সেখানেও একই ফলাফল আসে। নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি পদে ১৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। একই পদে মিশা সওদাগর পান ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন জায়েদ খান। নিপুণ পান ১৬৩ ভোট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।