যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
শরীরের নানা অংশে কালচে ছোপের কারণে দেখতে খারাপ লাগে। এ কারণে অনেক সময় পছন্দের পোশাকটিও পরা হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় হাঁটু কিংবা কনুইয়ে কালচে দাগ। কখনো কখনো গোড়ালির উপরেও এই দাগ দেখা যায়। নানা ধরনের ক্রিম, লোশন ব্যবহার করেও মুক্তি মেলে না। এই নাছোড়বান্দা দাগ দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায়ই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই ৩টি উপায়-
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার:
ত্বকের যত্নে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার বেশ কার্যকরী। ত্বকের কালচে ছোপ দূর করতে কাজ করে এটি। এতে থাকা অ্যাসিডিক কম্পাউন্ড অনেকটা ন্যাচারাল ব্লিচের মতো কাজ করে। এর মানে এই নয় যে এটি ব্যবহারে আপনার হাঁটু, কনুই বা গোড়ালির চামড়া উঠে যাবে! এটিত্বক এক্সফোলিয়েট করে কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
কালচে ছোপ দূর করার জন্য সম পরিমাণ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এবং পানি মিশিয়ে নিন। এবার পরিষ্কার তুলোর সাহায্যে সেই মিশ্রণ হাঁটু বা কনুই বা গোড়ালির যেখানে কালো দাগ-ছোপ আছে সেখানে লাগিয়ে নিতে হবে। এভাবে রেখে দিতে হবে মিনিট পনেরো। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এটি ব্যবহার করুন। ধীরে ধীরে কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।
নারিকেল তেল:
কেবল চুলের যত্নেই নয়, ত্বকের যত্নেও সমান কার্যকরী হলো নারিকেল তেল। ত্বক থেকে কালচে ছোপ দূর করার জন্য কাজে লাগাতে পারেন এই তেল। ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং পুষ্টি যোগাতে এই তেলের তুলনা নেই।
হাঁটু, কনুই এবং গোড়ালিতে যে কালচে দাগ হয় তা দূর করার ক্ষেত্রে কাজ করে এই তেল। এক টেবিল চামচ নারিকেল তেলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ আখরোট পাউডার মিশিয়ে নিন। গোসলের আগে এই স্ক্রাব কালো দাগের স্থানে ব্যবহার করুন। গোসলের পরে হাঁটু, কনুই এবং গোড়ালিতে নারিকেল তেল দিয়ে মালিশ করুন। এটি স্ক্রাব সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করবেন।
অ্যালোভেরা জেল:
রূপচর্চায় অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার নতুন নয়। ত্বকের নানা ধরনের যত্নে এটি ব্যবহার হয়। এটি শুধু ত্বকের দাগ-ছোপ দূরই করে না, ত্বককে কোমল এবং উজ্জ্বল করতেও কাজ করে।
অনেকে আছেন যারা অ্যালোভেরার পাতা কেটে তার থেকে জেল বের করে ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করেন। কিন্তু ভুলেও এটি করবেন না। কারণ এভাবে সরাসরি ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এর বদলে ভালো কোনো অরগ্যানিক অ্যালোভেরা জেল কিনে সেটি হাঁটু, কনুই বা গোড়ালিতে মালিশ করে নিন। এভাবে মিনিট বিশেক রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নেবেন। দিনে দুইবার এভাবে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।