বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাচার মৃত্যু শোক সইতে না পেরে অকালে মারা গেছেন আদরের ভাতিজিও। চাচার শোকে কাঁদতে কাঁদতে তিনি পাড়ি জমালেন পরপারে। হৃদয় বিধারক এ ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির কাঠালতলী গ্রামে। চাচা-ভাতিজির মৃত্যুতে পরিবারের পাশাপাশি শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকায়। আজ রবিবার (৩০ জানুয়ারি) বাদ যোহর জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়েছে পারিবারিক কবরস্থানে।
স্থানীয় সূত্র মতে, হৃদরোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন হানিফ উদ্দিন (৭০)। গত শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে মারা যান তিনি। এদিকে চাচার মৃত্যুর শোক সইতে পারেননি তাঁর ভাতিজি সুজন আক্তার (৩০)। চাচার জন্য কাঁদতে কাঁদতে একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। পরে সাড়ে আটটার দিকে বড়লেখা পৌরশহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন তাঁকে। এরপর শোকের ছায়া নেমেছে স্থানীয় এলাকায়। মৃত হানিফ উদ্দিনের পুত্র হোসাইন আহমদ আজ বিকেলে বলেন, চাচাতো বোন সুজন আক্তারকে আদর-স্নেহ করতেন আমার পিতা। তাঁর (সুজনেরও) বাবা নেই। অনেক আগে মারা গেছেন। সেজন্য বাবার মৃত্যুর শোক সইতে পারেননি তিনি। কাঁদতে কাঁদতে মারা গেছেন।
দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন চাচা-ভাতিজির মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে বলেন, ভালো মানুষ ছিলেন হানিফ উদ্দিন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর কিছুক্ষণ পরও কাঁদতে কাঁদতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ভাতিজিও। ঘটনাটি হৃদয়স্পর্শী, হৃদয় ছুঁয়েছে এলাকার মানুষের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।