বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভুয়া মামলায় আসামি হয়ে ১১দিন কারাভোগ করেন জনৈক বুলু। দীর্ঘ হয়রানির পর অবশেষে মুক্তি মিললো বুলুর। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে মামলা থেকে মুক্তির আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাসানুল ইসলাম।
বুলুর স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জানুয়ারী ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানা আওতাধীন এলাকা থেকে গায়েবী মামলার ভুয়া পরোয়ানা অটোরিকশা চালক বুলুকে আটক করে ত্রিশালের পুলিশ। হতদরিদ্র এ রিকশাচালকের স্বজনরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ২০১৮ সালে বরগুনা সদর থানায় অস্ত্র আইনের ১৭ নং মামলায় বরগুনা আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা আসায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। তবে তারা বরগুনার আদালতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, এমন কোনো গ্রেফতারী পরোয়ানা ময়মনসিংহে পাঠানো হয়নি। এরপর বরগুনা আদালত থেকে ২৪ জানুয়ারি তল্লাশির আবেদন ও তল্লাশির লিখিত মন্তব্য নিয়ে বড় ভাই বুলুকে মুক্ত করতে যান তার ছোটো ভাই উজ্জ্বল মিয়া। কিন্তু ময়মনসিংহ আদালত জানান, মিথ্যা এ মামলা থেকে মুক্তি পেতে রায় পেতে হবে বরগুনার আদালত থেকে।
বুলুর চাচাতো ভাই উজ্জল মিয়া বলেন, ষড়যন্ত্র করে ১১ দিন আমার ভাইকে জেল খাটানো হয়। বরগুনার আদালত কাগজপত্র দেখে আমার ভাই বুলুকে অব্যাহতি দেয়।
এবিষয়ে বুলবুল ইসলাম বুলুর আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু জানান, আমি আজ বরগুনা আদালতে বুলুর মুক্তির জন্য আবেদন করি। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ যাচাই বাছাই করে দেখেন ওয়ারেন্টটি আসলেই ভুয়া, পরে সরাসরি তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।