মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যে একটি প্রাথমিক গবেষণায় উঠে এসেছে কোভিড সংক্রমণে শারীরিক ক্ষতি বিষয়ে নতুন তথ্য। বিজ্ঞানীরা বলছেন—দীর্ঘদিন ধরে নভেল করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের কারও কারও ফুসফুসের ক্ষতি হচ্ছে। তবে, প্রচলিত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ফুসফুসের এ ক্ষতির বিষয়টি ধরা পড়ে না।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গবেষকেরা নভেল জেনন গ্যাস স্ক্যান পদ্ধতিতে ফুসফুসের ক্ষতি শনাক্তকরণ পরীক্ষা চালিয়েছেন। এ গবেষণার জন্য করোনা থেকে সেরে ওঠা ১১ ব্যক্তিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর ওই ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে হয়নি। তবে, দীর্ঘদিন তাঁরা শ্বাসকষ্টে ভুগেছেন।
এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে, কিন্তু দীর্ঘদিন ভুগতে হয়নি—এমন ১২ জন এবং পুরোপুরি সুস্থ ১৩ জনকেও ব্রিটিশ এ গবেষণার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল।
অক্সফোর্ড, শেফিল্ড, কার্ডিফ ও ম্যানচেস্টারের গবেষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণা দলটি জানিয়ে, ফুসফুসের এমন গোপন ক্ষতি নিয়ে বড় পরিসরে গবেষণা চলছে।
প্রাথমিক গবেষণার বরাতে গবেষকেরা বলেছেন—দীর্ঘদিন কোভিডে ভুগলে শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতা কেন হচ্ছে, সে বিষয়টি গবেষণায় সামনে এসেছে। যদিও গবেষকেরা এত বলছেন—শ্বাসকষ্ট-সংক্রান্ত জটিলতার পেছনে অন্যান্য ও জটিল কারণও রয়েছে।
গবেষণাটির জন্য ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডের বিজ্ঞানীরা নতুন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। যে ব্যক্তিদের ওপর গবেষণা চালানো হয়েছে, তাঁদের জেনন গ্যাস দিয়ে শ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জেনন গ্যাস অক্সিজেনের মতোই আচরণ করে। কিন্তু, ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং বা এমআরআই স্ক্যানে জেনন গ্যাসের গতিবিধি ধরা পড়ে; যা থেকে বোঝা সম্ভব হয়েছে—জেনন গ্যাস ফুসফুসের কোন কোন অংশে পৌঁছেছে। এবং এর মাধ্যমেই ফুসফুসের ক্ষতির বিষয়টি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।