পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জ্বালানির অর্ধেকের বেশিই ব্যবহার হয় পরিবহন খাতে। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে মোট জ্বালানি তেলের ব্যবহার হয়েছে ৬২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩০ টন। এর মধ্যে যোগাযোগ বা পরিবহন খাতে ব্যবহার হয়েছে ৩৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭২৫ টন, যা মোট জ্বালানি ব্যবহারের ৬২ দশমিক ৯২ শতাংশ। বিগত চার অর্থবছরে সারা দেশে জ্বালানি ব্যবহারের অর্ধেকের বেশি ব্যবহার হয়েছে পরিবহন খাতে। সম্প্রতি গণপরিবহনের জ্বালানি ব্যবহারের তথ্য জানতে চেয়ে সুপারিশ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে যে পরিমাণ ডিজেল প্রতি বছর আমদানি করা হয় তার বেশির ভাগই পরিবহনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে সরকারের যদি জানা না থাকে কোন পরিবহন কী জ্বালানিতে চলছে, তবে জ্বালানি পরিকল্পনা সঠিকভাবে করা সম্ভব নয়। এতে কোনো জ্বালানির আধিক্য সৃষ্টি হতে পারে, আবার সঙ্কটও হতে পারে। ফলে জ্বালানি ব্যবহারের ভিত্তিতে পরিবহনের জরিপ জরুরি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান জানান, গণপরিবহন খাতে কোন ধরনের জ্বালানি ব্যবহার হয়, সে বিষয়টির বিশদ জানাতে কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে।
সংসদীয় কমিটিতে দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবহৃত জ্বালানির মধ্যে ডিজেল ২৯ লাখ ৬৪ হাজার ৬৪৩ টন, অকটেন ৩ লাখ ৮৮৯, পেট্রোল ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯ এবং অন্যান্য ৩ লাখ ২৩ হাজার ১০৪ টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে যোগাযোগ খাতে জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৩০ লাখ ৩৮ হাজার ৫১১ টন, যা মোট জ্বালানি ব্যবহারের ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যোগাযোগ খাতে জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৩৪ লাখ ৩২ হাজার ২৩৯ টন, যা মোট জ্বালানি ব্যবহারের ৪৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যোগাযোগ খাতে জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৩৭ লাখ ১০ হাজার ২১১ টন, যা মোট জ্বালানি ব্যবহারের ৫৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে যোগাযোগ খাতে জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৪৮৯ টন, যা মোট জ্বালানি ব্যবহারের ৬৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশের সব যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস বা চলাচলে অনুমতি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে সংরক্ষিত থাকে। ডিজেল, পেট্রোল বা গ্যাসচালিত গণপরিবহনের সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য বিআরটিএর চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সারা দেশে নিবন্ধিত গণপরিবহনের সংখ্য ৪৯ লাখ ৭১ হাজার ৫৩৫৩টি। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে ২০ ধরনের যানবাহনের চলাচলের অনুমতি আছে। তবে এসব যানবাহনে কোন ধরনের জ্বালানি ব্যবহার হয় তার কোনো সঠিক তথ্য সংরক্ষিত নেই। জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, সম্প্রতি ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর সিএনজিচালিত বাসের ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে যাত্রী ও বাস মালিকরা পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। গত ২২ নভেম্বর জ্বালানি মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পরিবহনে জ্বালানি ব্যবহারের ধরন চিহ্নিত করার সুপারিশ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে জ্বালানি বিভাগের বৈঠকেও আলোচনা হয়। সেই আলোচনার ভিত্তিতে একটি জরিপ করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, পরিবহনে ডিজেল ছাড়াও সিএনজি, পেট্রোল, অকটেন, অটোগ্যাস ও বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। পেট্রোল ও অকটেনচালিত কিছু গাড়ি জ্বালানি সাশ্রয়ের কথা ভেবে অটোগ্যাসে রূপান্তর করছে। আবার সিএনজি দিয়ে যেসব গাড়ি চালানো যায়, সেগুলোও অটোগ্যাসে রূপান্তর করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।