বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট নগরীতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে এসএমপির কতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় নগরীর মেন্দিবাগ থেকে আটক করা হয় সুলতান আহমদ (৩০) নামের ওই যুবককে। সে মেন্দিবাগ (বুরহান উদ্দিন রোডের পাশে) মেসার্স ইমরান স্টোরের কর্মচারী ও গোয়াইনঘাট উপজেলার ধর্মপাশা লাফনাউট গ্রামের ওলিউর রহমানের পূত্র।
এদিকে, শ্লীলতাহানী ঘটনার প্রতিবাদ করায় অভিযুক্ত সুলতান আহমদ ও মেসার্স ইমরান স্টোরের মালিক আবদুল করিমসহ আরও কয়েকজন স্থানীয় যুবক ভিকটিমের মামা সিলেট জেলাবারের এক আইনজীবীকে করেছে মারধরও। ঘটনার খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিট পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সুলতানকে আটক করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করছেন আইনজীবী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র মতে, মেন্দিবাগস্থ মেসার্স ইমরান স্টোরের পাশ্ববর্তী একটি ৩ তলা বাসার ভাড়াটে ওই স্কুলছাত্রী। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনার প্রয়োজনে ওই ছাত্রী মাঝে-মধ্যে মেসার্স ইমরান স্টোরে গেলে দোকানের কর্মচারী সুলতান নানাভাবে উত্যক্ত করতেন তাকে। সর্বশেষ শুক্রবার বিকেলে ওই ছাত্রী দোকানে গেলে সুলতান শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন তার।
এসময় সে দৌঁড়ে বাসায় চলে যায় এবং পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়। বিষয়টি জানার পর ওই ছাত্রীর মামা সিলেটের এক আইনজীবী শনিবার বিকাল ৩টার দিকে ইমরান স্টোরে গিয়ে সুলতানের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ক্ষেপে যান। এসময় সুলতান, তার পক্ষ নিয়ে মেন্দিবাগ ২৭ নং বাসার বাসিন্দা ও সেই দোকানের মালিক আব্দুল করিম এবং স্থানীয় কয়েকজন যুবক আইনজীবীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকান কর্মচারী সুলতানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নির্যাতিত আইনজীবী বলেন, আমার ভাগনি ওই দোকানে গেলে সুলতান আহমদ প্রায় সময় তাকে উত্যক্ত করতো। গতকাল (শুক্রবার) ওই বখাটে ছেলে এমন আচরণ করলে বিষয়টি আমি অবগত হই। আজ (শনিবার) বিকেলে ওই দোকানে গিয়ে এহেন আচরণের কারন জানতে তারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে আমাকে। এ বিষয়ে আমি মামলা দায়েরের করছি এবং দোকান মালিককেও আসামি করবো। কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।