Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুয়াকাটায় আগমন ঘটেনি আশানুরুপ পর্যটক, দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

করোনার প্রভাব

কলাপাড়া(পটুয়াখালী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:০২ পিএম

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দিন দিন কমে যাচ্ছে পর্যটকের সংখ্যা। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আশানুরুপ পর্যটক না থাকায় অধিকাংশ হোটেল মোটেল খালি রয়েছে। করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় পর্যটকদের আনাগোনাও কমে গেছে। এই অবস্থা বিরাজ করলে ফের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে পর্যটন ব্যবসায়ীরা এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট।
এদিকে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের আগমন কম থাকলেও তারা মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি। অনেকেই ব্যবহার করেনি মাস্ক। তবে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে ট্যুরিষ্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সৈকত এলাকায় বার বার মাইকিং করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, করোনার সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। ফলে এখানকার পর্যটন ব্যবসায় চলছে মন্দাভাব। এতে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পরেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
আগত পর্যটক হবিব বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে কুয়াকাটায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসেছি। পরিবেশটা বেশ ভালোই লেগেছে। তবে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় পর্যটক খুবই কম। আমারা দুই ডোজই ভ্যাকসিন নিয়েছি। এ করনে সাহস করে কুয়াকাটায় এসেছি। তারপরও মাস্ক পড়ে বিভিন্ন স্থানে আমাদের মতো করে ঘোরা ফেরা করছি। অপর এক পর্যটক জুই আক্তার বলেন, মাস্ক পড়া খুবই ভাল। এতে করে ধুলা বালি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কুয়াকাটায় আসা অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেনা। তবে মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ভাল বলে পর্যটকরা জানিয়েছেন।
কুয়াকাটার সৈকতের ফটোগ্রাফার মো.মনির হোসেন বলেন, পর্যটক সংখ্যা অনেক কমে গেছে। যারা আসছে তারা নিজ নিজ মোবাইল ফোন দিয়ে সেলফি তুলছে। এ করানে তাদের আয়ও কমে গেছে। অপর এক ফটোগ্রাফার মো.জাহিদ বলেন, সকাল থেকে দু’জনের ছবি তুলেছি। এতে দেড়শ টাকা আয় হয়েছে। তবে পর্যটক বেশি থাকলে প্রতিদিন দেড় দুই হাজার টাকা আয় হয়।
আবাসিক হোটেল 'সমুদ্র বাড়ি রিসোটের্’র' পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, পুরোপুরি স্বাস্থ্য বিধি মেনেই হোটেলে রুম বুকিং দেয়া হচ্ছে।
পর্যটক সংশ্লিস্ট সংগঠন কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিশেনের টোয়াক’র সাধারণ সম্পাদক কে.এম জহির বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারনে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটা কম। এভাবে পর্যটকের সংখ্যা কমে গেলে ফের বড় লোকসানের মুখে পড়বেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিশেনের সাধারন সম্পাদক মো.মোতালেব শরিফ বলেন, করোনা প্রভাব আশানুরুপ পর্যটক নেই। কোন হোটেলের দুই একটি রুম বুকিং হয়েছে। আবার কোন হোটেল একবারেই খালি রয়েছে। তবে অধিকাংশ হোটেল পর্যটক শূন্য। এর ফলে হোটেল মোটেল মালিকরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো.আবদুল খালেক বলেন, পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানা, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে মাইকিং করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যবসায়ী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ