পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চ্যালেঞ্জ ও পাল্টা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মধ্যদিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় এগিয়ে চলছে বেগম রওশন এরশাদের ডাকা জাতীয় পার্টির ১০ম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি। এরইমধ্যে সম্মেলন সফল করতে ঢাকা মহানগরে তিনটিসহ দেশজুড়ে প্রায় ২৫ টিরও বেশি সাংগঠনিক জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটিতে জায়গা করে নিচ্ছেন পার্টির দীর্ঘ সময়ের ত্যাগি ও অবহেলিত নেতারা। সঙ্গে যোগ হচ্ছেন নতুন পুরাতন অনেক পরিচিত মুখ।
এবার সেই ধারায় জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের ডাকে সাড়া দিয়ে দলে যোগ দিচ্ছেন বেশ ক’জন সাবেক ছাত্র নেতা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সংস্থার নেতৃবৃন্দ। জাতীয় পার্টির সরকারের প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার মিলনের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন বিএনপি, এলডিপি ও বিকল্পধারার একঝাঁক নেতা। এছাড়া তালিকায় আছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সেবা সংস্থার নেতৃবৃন্দ।
যোগদানের সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছেন নতুন বাংলা ছাত্র সমাজের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও জাতীয় ছাত্র সমাজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং সাবেক রাষ্ট্রপতির ছাত্র ও শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ও জাতীয় যুব কল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক চেয়ারম্যান(উপমন্ত্রীর পদ মর্যাদা) কাজী জাফর জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল হক হাফিজ, চাকসুর সাবেক ভিপি ও বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক জাপা নেতা মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত সচিব ড. রফিকুল ইসলাম মাহমুদ, চায়না বাংলা ফ্রেন্ডশীপ সেন্টারের সিরিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গুলজার হোসেন, বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা-বাইসসের সিনিয়র সহ সভাপতি হাসান রকীব আজাদ, বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা-বাইসসের মহাসচিব এম সাইফুল ইসলাম মোয়াজ্জেম প্রমূখ। এদের সঙ্গে বিএনপি, এলডিপি ও বিকল্পধারার আরো বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতারও যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। এতে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টাও, আছেন সাবেক এক পররাষ্ট্র সচিব।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা, নারী সংগঠকসহ আরো প্রায় অর্ধশতাধিক পেশাজীবী এবং রাজনৈতিক নেতাও বেগম রওশন এরশাদের ডাকে সাড়া দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদানের অপেক্ষায় রয়েছেন। বিরোধী দলীয় নেতা দেশে ফিরলেই উল্লেখিতরা আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। এরইমধ্যে জাপায় যোগদান প্রক্রিয়ায় থাকা নেতৃবৃন্দ কয়েক দফায় বৈঠক করেছেন পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দুজন যুগ্ম আহবায়কের সঙ্গে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সরোয়ার মিলনের নেতৃত্বে নগরীর অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত ওইসব বৈঠকে অংশ নেন তারা। জাতীয় পার্টির পক্ষে নেতৃত্ব দেয়া একজন হলেন এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কাজী মামুনুর রশীদ। সাবেক ছাত্রনেতাদের দলে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া তদারকি ও সমন্বয় করছেন সদ্য পদন্নোতি পাওয়া সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আরেক যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু।
এবিষয়ে টিটু বলেন, জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পল্লীমাতা বেগম রওশন এরশাদ দল শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান করেছেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে অনেকেই যোগাযোগ করছেন। পার্টির সাবেক নেতারাও আছেন, যারা অতীতে দল ছেড়ে গেছেন। অন্যান্য দলের জনপ্রিয় অনেক নেতাও রওশন এরশাদের আহবানে সাড়া দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। যারা কমবেশি ম্যাডামসহ আমাদের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। এদের অনেকেই সম্মেলনের আগে অথবা পরে যোগ দেবেন। তবে যাদের নাম আপাতত শোনা যাচ্ছে, তারা শিগগিরই পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন বলে জানান মনিরুজ্জামান টিটু।
দলে ফিরে আসা প্রসঙ্গে গোলাম সরোয়ার মিলন জানান, বেগম রওশন এরশাদ আমাদের মায়ের মতো। ক্ষমতাসীন সময়েও তাঁর স্নেহ মমতায় রাজনীতি করেছি। দেশের প্রয়োজনে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে তিনি (রওশন এরশাদ) যে ডাক দিয়েছেন, তাতে সাড়া দেয়া অনেকটা নৈতিকতার মধ্যে পড়ে। যেমনটা ঘরের ছেলে ঘরে ফেরা। মা সন্তানকে ঘরে ফিরতে বলেছেন, আর ছেলে সেই ডাকে সাড়া দেবে না, এটা হতে পারে না। তবে সবার কাছ থেকে মতামত পাওয়া গেলেও এখনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আলাপ আলোচনা চলছে, ম্যাডাম(রওশন এরশাদ) দেশে ফিরলেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
সাবেক ছাত্রনেতাদের পার্টিতে ফেরা প্রসঙ্গে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, অনেকেই যোগাযোগ করছেন, পুরাতনরা ফিরতে চাচ্ছেন। বিএনপিসহ ছোট বড় অন্যান্য দলের অনেক জনপ্রিয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্ব মেনে রাজনীতি করতে চাচ্ছেন। আমাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। এখনো চুড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ম্যাডাম(রওশন এরশাদ) দেশে ফিরলেই আগ্রহীরা অনেকে দেখা-সাক্ষৎ করবেন। তখন বড় ধরনের একটি যোগদান হতে পারে বলে জানান কাজী মামুন।
এদিকে এরইমধ্যে নড়াইল, খুলনা মহানগর, খুলনা, নাটোর, রাজশাহী মহানগর,লালমনিরহাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া. নোয়াখালী. সাতক্ষীরা, যশোর, কক্সবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম ও পুর্বসহ প্রায় ২৫টির বেশি জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটিতে নতুন পুরাতন ত্যাগি নেতারা জায়গা করে নিয়েছেন। এছাড়া আরো ৩০টি জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় নানা রং বেরংয়ের পোষ্টার লাগানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।