Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আপনার ত্বকে কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে ওমিক্রন? জানলে শিউরে উঠবেন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:৪৭ পিএম

গোটা বিশ্বেই নতুন করেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা। মারণ ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের দাপটে ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। এই পরিস্থিতিতে এক নতুন সমীক্ষায় জানা গেল মানুষের ত্বকে ২১ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকে ওমিক্রন। প্লাস্টিকের উপরে অবশ্য তার থেকেও বেশি সময় বেঁচে থাকে নয়া এই স্ট্রেন। সব মিলিয়ে ৮ দিন পর্যন্ত প্লাস্টিকের উপরে বেঁচে থাকতে পারে ওমিক্রন।

জাপানের কিয়োটো প্রিফেকচুরাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল এই নয়া দাবি করেছে। গবেষণাপত্রটির লেখক জানিয়েছেন, ভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেন কোন বস্তুর উপরে কতক্ষণ টিকে থাকতে পারে সেটা নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন তাঁরা। আর তারপরই জানা গিয়েছে এই তথ্য। এবার দেখার তাঁদের দাবিতে সিলমোহর পড়ে কিনা।

দেখা গিয়েছে, করোনার প্রথম যে স্ট্রেনটি ছিল সেটি মানুষের ত্বকে টিকে থাকত সর্বোচ্চ ৮.৬ ঘণ্টা। পরবর্তী স্ট্রেনগুলির স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে আলফা ১৯.৬ ঘণ্টা, বিটা ১৯.১ ঘণ্টা, গামা ১১ ঘণ্টা, ডেল্টা ১৬.৮ ঘণ্টা। ওমিক্রনের ক্ষেত্রে সেটা বেড়ে হয়েছে ২১ ঘণ্টার সামান্য বেশি সময়। একই ভাবে প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে আলফা, বিটা, গামার ক্ষেত্রে সেই সময়টা যথাক্রমে ৫৬ ঘণ্টা, ১৯১.৩ ঘণ্টা, ১৫৬.৬ ঘণ্টা, ৫৯.৩ ঘণ্টা ও ১১৪ ঘণ্টা। ওমিক্রনের ক্ষেত্রেই সেটা বেড়ে হয়েছে ১৯৩.৫ ঘণ্টা।

এদিকে ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ওমিক্রনই যে শেষ স্ট্রেন তা নয়। হু-এর কোভিড-১৯-এর টেকনিক্যাল প্রধান মারিয়া ভ্যান জানান, “এই ভাইরাসটি এখনও নিজের ভোল বদলাচ্ছে। আমাদেরও সেই মতো করে বদলাতে হবে।” তাহলে লড়াইয়ের উপায় কী?

বিশেষজ্ঞের মতে, টিকাকরণই এর মূল হাতিয়ার। বিশ্বজুড়ে আরও বেশি করে ভ্য়াকসিনেশনের উপর জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে তিনি নিশ্চিত করে দেন, “করোনার বর্তমান ঢেউয়ের সঙ্গেই কিন্তু এই ভ্যারিয়েন্ট শেষ হয়ে যাবে না। কারণ দুর্ভাগ্যবশত ওমিক্রনই কোভিড-১৯-এর শেষ প্রজাতি নয়।” সূত্র: টাইমস নাউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ