পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক কমেছে। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সূচক ও লেনদেন কমলেও ডিএসইতে নয় কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। এরপরও লেনদেনের এক পর্যায়ে এ নয় কোম্পানির শেয়ার বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। অর্থাৎ যাদের কাছে কোম্পানি চারটির শেয়ার আছে তারা দিনের সর্বোচ্চ দামেও বিক্রি করতে চাননি।
গতকাল বুধবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের ১০ মিনিটের মাথায় সূচকটি ৪০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু লেনদেনের শেষ দেড় ঘণ্টায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে। এতে উত্থানের বদলে পতনে রূপ নেয় সূচক। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর আগে কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ১১৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৭টির। আর ৬৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে নয়টির শেয়ার দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।
এ নয় কোম্পানির মধ্যে রয়েছে-ইউনিয়ন ব্যাংক, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, অগ্নি সিস্টেম, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, বিডি থাই ফুড, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, মালেক স্পিনিং, ইয়াকিন পলিমার এবং তাল্লু স্পিনিং। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দিনের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন হলেও এক পর্যায়ে বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, ডিএসইতে টাকার অংকে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৮৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৬০ কোটি ৭২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩১ কোটি ২৩ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মতিন স্পিনিং।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-আরএকে সিরামিক, ওরিয়ন ফার্মা, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, জিপিএইচ ইস্পাত, অগ্নি সিস্টেম, পাওয়ার গ্রিড এবং সোনালী পেপার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৩টির এবং ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।