মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা করে জেলে গিয়েছেন তিনি। এবার রাশিয়ার সন্ত্রাসবাদী এবং চরমপন্থী তালিকায় ঠাঁই হল রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির। শুধু তিনি একা নন, এই নিষিদ্ধ তালিকায় নাম জুড়েছে নাভালনি ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির।
অভিযোগ, বিরোধীদের লাগাতার কণ্ঠরোধের চেষ্টা চলছে রাশিয়ায়। পুতিনের কট্টর বিরোধী নাভালনির দুর্নীতি বিরোধী সংস্থার নাম গত বছরই চরমপন্থী তালিকায় পাঠানো হয়েছে। এমনকী, সংস্থাটিকে নিষিদ্ধও করা হয়েছে। এবার নাভালনি ঘনিষ্ঠ ন’জনের নাম এই তালিকায় যুক্ত করল রাশিয়া সরকার। অর্থাৎ এদিন থেকে সে দেশে নাভালনি ও তার সঙ্গীদের জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে একই সারিতে বসানো হল। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
উল্লেখ্য, গত বছর জানুয়ারি মাসে সুস্থ হয়ে বার্লিন থেকে মস্কো ফিরতেই গ্রেপ্তার করা হয় নাভালনিকে। গত বছর তাকে বিমানে বিষ দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্রের জন্য তিনি পুতিনকে দায়ী করেছিলেন। ক্রেমলিন এমন দাবিকে পত্রপাঠ উড়িয়ে দিয়েছিল। পরে গ্রেপ্তারির ভয়কে অগ্রাহ্য করেই তিনি মস্কোতে ফিরে আসেন। এরপরই তাকে জেলবন্দি করা হয়। কয়েকদিন আগেই তাকে মস্কোর জেল থেকে সরিয়ে ভ্লাদিমির শহরের একটি কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানেও নাভালনি নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক হিসেবে পরিচিত নাভালনি। কিছুদিন আগে জেল থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকের সামনে নিজের বক্তব্য পেশ করেন তিনি। কারাগারে রোজ রাতে চলা নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। নাভালনির কথায়, “প্রতি রাতে ওরা আমার কামরায় প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়, আমাকে ঘুমোতে দেওয়া হয় না। ঘণ্টায় ঘণ্টায় তল্লাশির নামে আমার উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। রাত হলেই আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এসব কেন হচ্ছে। আমি কি দেওয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করেছি? আমি কি জেল থেকে পালানোর জন্য কোনও সুড়ঙ্গ খুঁড়ছি? নাকি আমি বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি? তাহলে আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার কেন করা হচ্ছে। এমনটা চলতে থাকলে মানুষ কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পাগল হয়ে যাবে।” এই অমানুষিক অত্যাচারের মাঝেই এবার আইসিসের সঙ্গে এক সারিতে বসানো হল তাকে। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।