Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিকিৎসার আড়ালে নারীকে ধর্ষণ, কবিরাজ আটক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৫৮ পিএম

চিকিৎসার নামে চেতনানাশক খাইয়ে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজ মোহাম্মদ আলীকে (ডেরা বাবা আলীকে) আটক করেছে র‌্যাব। গতকাল সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাথুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। র‌্যাব জানায়, মোহাম্মদ আলী (৬২) চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামের মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে। চিকিৎসার নামে পানি পড়ার সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে অসহায় নারীদের অচেতন করে ধর্ষণ করতেন কবিরাজ আলী।

এছাড়া নারীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকাও আদায় করতেন তিনি।মঙ্গলবার ( ২৫ জানুয়ারি) র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, ভিকটিম নারীর ১৮ বছর আগে বিয়ে হয়। তার স্বামী প্রবাসী। গত এক বছর ধরে মেয়েকে নিয়ে শহরের ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। গত কয়েকমাস ধরে ভিকটিমের স্বামী তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না। এমনকি টাকা পয়সাও দিচ্ছেন না। এ জন্য প্রতিবেশীর পরামর্শে ওই কবিরাজের দ্বারস্থ হন তিনি। ফোনে কথা বলার পর আলী সমস্যা সমাধানের কথা বলে ভিকটিমকে বাসায় আসতে বলে। কবিরাজ আলী তাকে কিছু তাবিজ ও পানি পড়া দিয়ে ৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। কিন্তু তাতে কোনো কাজ না হলে আবারও পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে তাবিজ ও পানি পড়া দেয়।

তিনি বলেন, এতো কিছুর পরও ভিকটিমের স্বামী তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। বিষয়টি তখন কবিরাজ মোহাম্মদ আলীকে জানালে, ভিকটিমকে তার বাসায় আবারও দেখা করতে বলে। ভিকটিম গত ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার বাথুয়া (বড় বাড়ি) কবিরাজ মোহাম্মদ আলীর (৬২) ঘরে যান। এ সময় কবিরাজ তাকে পানি পড়া দিয়ে বলে এ পানি পান করলেই কাজ হবে। ভিকটিম পানি পান করার কিছুক্ষণের মধ্যে অচেতন হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর কবিরাজ তাকে রিকশাযোগে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে আসার পর তিনি বুঝতে পারেন ধর্ষণের বিষয়টি। এ বিষয়ে কথা বলতে তিনি কবিরাজের বাড়িতে যান। কিন্তু সেখানে কাউকে পাননি।

এ সময় র‌্যাবের একটি টহলগাড়ি দেখে তাদের বিষয়টি জানান ওই নারী। ভিকটিমের তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক কবিরাজকে আটক করে। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত আলী জানান, তিনি ভুয়া কবিরাজ। প্রতারণা করে তাবিজ, পানি পড়াসহ বিভিন্ন কৌশলে অসহায় নারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পাশাপাশি ধর্ষণ করে আসছিলেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ