যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
প্রতিদিনই একাধিক ডিম খেয়ে থাকেন অনেকেই। বিশেষ করে যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তারা ফিট থাকতে বেশ কয়েকটি ডিম একসঙ্গে খান। ডিম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে ডিম খাওয়া নিয়ে নানাজনের নানা মতভেদ আছে।
কারও মতে, ডিমের সাদা অংশ একাধিক খাওয়া গেলেও কুসুমসহ ডিম স্বাস্থ্যের জন্য হতে পারে ক্ষতির কারণ। এ বিষয়টি কতটুকু সত্য?
জানেন কি, ডিমে থাকে ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি, আয়রন ও প্রোটিন। এ কারণে ডিমকে অনায়াসে ‘সুপার ফুড’বলা যায়।
ডিমের ভিটামিন বি ২ শরীরে কোষ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তিও উন্নত করে। তবে স্বাস্থ্য সচেতন ডিম খেলেও বাদ দেন কুসুম।
অনেকেরই ধারণা, কুসুম খেলে কোলেস্টেরল বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে ওজনও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও আছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ডিমের সাদা অংশই নয়, কুসুমও শরীরের জন্য সমান উপকারী। কুসুমেও থাকে বিভিন্ন খাদ্যগুণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমের সাদা অংশের তুলনায় কুসুমে থাকে বেশি পরিমাণে ভিটামিন। ডিমে যে সাত প্রকার ভিটামিন আছে তার মধ্যে চারটি অর্থাৎ এ, কে, ই, ডি ভিটামিন শুধু ডিমের কুসুমেই থাকে।
পুষ্টিবিদদের মতে, কুসুম খাওয়ার চেয়ে বরং অন্যান্য স্যাচুরেটেড ফ্যাটজাতীয় খাবার খেলে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি বেশি।
পুরো ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে ৩.৬ গ্রাম। তার মধ্যে ২.৬ গ্রামই থাকে ডিমের কুসুমে।
এ ছাড়াও ডিমের কুসুমে থাকে ৯০ শতাংশ ক্যালসিয়াম ও ৯৩ শতাংশ আয়রন। বয়সের কারণে চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকেও সুরক্ষিত রাখে ডিমের কুসুম।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।