পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইয়েমেনের সাদ শহরের কারাগারে বোমা হামলার দায় অস্বীকার করেছে সউদী নেতৃত্বাধীন জোট। হামলায় এখন পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি বন্দির প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবদমানপক্ষগুলোকে অবিলম্বে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র। ইয়েমেনের সশস্ত্র হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান এমএসএফ জানিয়েছে, শুক্রবার সাদ শহরের অস্থায়ী কারাগারে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক বন্দি। হুতিদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক ভিডিও’তে দেখা গেছে, ধ্বংস্তূপ থেকে লাশ টেনে বের করে আনছেন উদ্ধারকর্মীরা। হুতি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাহা আল-মোতাওয়াকেল বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, বোমা হামলায় ৭০ জন বন্দি মারা গেছেন। নিহতের এমন সংখ্যায় সমর্থন দেন এমএসএফ-এর মুখপাত্র। তবে এ ঘটনায় ১৩৮ জন আহত হয়েছেন বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এএফপি-কে বলেন তিনি। দেশটিতে চলমান যুদ্ধের মধ্যে এমন হামলার দায় নিতে অস্বীকার করেছে সউদী নেতৃত্বাধীন জোট। জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। এদিকে কারাগারে হামলার ঘটনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনুরোধে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। বৈঠকে সউদী আরব এবং আমিরাত ছাড়াও অন্যদের পক্ষ থেকেও বিবৃতিতে নিন্দা জানানো হয়েছে। আলাদা বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন যে, ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। বিবদমানপক্ষগুলোকে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৫ সাল থেকে দেশটিতে যুদ্ধ চলছে। চলমান সংঘাত কয়েক কোটি ইয়েমেনি চরম দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছে। এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।