Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ ১৫ নৌদস্যু গ্রেফতার

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:১৭ পিএম

চট্টগ্রামের বাঁশখালী, কক্সবাজারের পেকুয়া ও কুতুবদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নৌদস্যু কবীর বাহিনীর প্রধান নূরুল কবীর, সেকেন্ড ইন কমান্ড মামুনসহ ১৫ দস্যুকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। শনিবার নগরীর চান্দগাঁও র‍্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ। তিনি জানান, জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করত চক্রটি। মুক্তিপণ না পেলে জেলেদের হাত-পা বেঁধে মারধর করত তারা। র‌্যাব-৮ কয়েক দিন আগে পটুয়াখালীর পাথরঘাটা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৭ নৌদস্যুকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে আটক দস্যুরা জানায়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়ায় দস্যুরা অবস্থান করছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দস্যু নুরুল আফসার, নূরুল কাদের, হাসান, মো. মামুনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়া থানার ডান্ডিবাজার এলাকায় নৌদস্যু সর্দার কবীরের আস্তানা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সর্দার মো. নুরুল কবির (২৯), মো. আব্দুল হামিদ কালা মিয়া (৩০), আবু বক্কর (৩১), মো. ইউসুফ (৪৬), গিয়াস উদ্দিন (৩৭), মো. সফিউল আলম মানিক (৩৬), মো. আব্দুল খালেক (৪৪), মো. রুবেল উদ্দিন (২৭), মো. সাইফুল ইসলাম জিকু (২৮), মো. সুলতান (৩৬) ও মো. মনজুর আলমকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৬টি ওয়ান শুটার গান, ৪টি কার্তুজ, ৫টি কিরিচ, ১টি ছুরি, ১টি রামদা, ২টি হাসুয়া উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি নোয়াখালীর ১৭ জন জেলে মাছ ধরার জন্য সাগরে গিয়ে দস্যু কবির বাহিনীর কবলে পড়েন। নৌকাটিতে ১৭ জন জেলে ছিলেন। কবির বাহিনীর ১৫ দস্যু মাছ ধরার বোটসহ তাদের অপহরণ করে। এরপর জেলেদের জিম্মি করে মারধর ও নির্যাতন চালায় তারা। এ সময় বোট মালিকের কাছে দস্যুরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে বোটের মালিক দস্যুদের ২ লাখ টাকা প্রদান করেন। এছাড়া জেলেদের ২ হাজার পিস ইলিশ মাছও তারা লুট করে নিয়ে যায়। দস্যুদের নির্যাতনে জেলে আনোয়ার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তাকে সাগরে নিক্ষেপ করে ডাকতরা। তাকে এখনও পাওয়া যায়নি। জেলেদের জিম্মি করার তথ্যটি র‍্যাব-৮ জানতে পেরে সম্মিলিতভাবে সমুদ্রে অভিযান পরিচালনা করে। আমাদের অভিযানের কথা জানতে পেরে গত ১৭ জানুয়ারি দস্যুরা ১৬ জনকে ছেড়ে দেয়। তারা তীরে আসার পর আনোয়ার নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পারি। #র ই সেলিম ২২ জানুয়ারি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ