মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একে ওমিক্রনে রক্ষা নেই, এবার দোসর হল তার নতুন বংশধর। ঝড়ের গতিতে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। অধিকাংশ দেশে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কোভিড আক্রান্তের শরীরেই থাবা বসিয়েছে ভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেন। এবার আরও আতঙ্ক বাড়িয়ে আসছে ওমিক্রনের বংশধর।
বিএ.১ এর পর এবার ছড়িয়ে পড়ছে বিত্র.২ প্রজাতির করোনাভাইরাস। যাকে বলা হচ্ছে ওমক্রিন ২.০। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত বিত্র.২ ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা গোটা বিশ্বের মধ্যে খুবই কম। ফলে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন ১.০-ই ভ্যারিয়্যান্ট অফ কনসার্ন। ওমিক্রনের এই নতুন বংশধরকে এই মুহূর্তে তাই ভ্যারিয়্যান্ট আন্ডার ইনভেস্টিগেশন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। অর্থাৎ এই নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন গবেষকরা।
জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বরে প্রথম ওমিক্রনের এই বংশধরের জন্ম হয়। এখনও পর্যন্ত এই নয়া ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বে ৫৩। ব্রিটেনেই মূলত এর প্রভাব বেশি রয়েছে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত মিউটেশনের পর্যায়তেই রয়েছে এটি। ওমিক্রনই শেষ করোনা ভ্যারিয়্যান্ট নয়। আরও ভয়াবহ, দাপুটে ভ্যারিয়্যান্টের হদিশ পাওয়া যেতে পারে আগামী দিনে। এমনইটা আগেই দাবি করছেন কিছু গবেষক। বর্তমানে করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়্যান্টের দাপট দেখাচ্ছে বিশ্বের একাধিক দেশে। সেক্ষেত্রে নতুন ভ্যারিয়্যান্ট কতটা ভয়াবহ হতে পারে? উঠছে প্রশ্ন।
এবার বিষয়টিতে আলোকপাত করল ডব্লিউএইচও। সংস্থাটির কোভিড-১৯ টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান মারিয়া ভন কারকোহভ এই প্রসঙ্গে বলেন, 'এই ভাইরাস এখনও রূপ বদলাচ্ছে। ফলে তা ভবিষ্যতে কী রূপ নেবে তা এখনই বলা বা আন্দাজ করা সম্ভব নয়।' নতুন ভ্যারিয়্যান্ট কতটা ভয়াবহ হবে এবং তা কী রূপ নেবে তা এখন থেকে বলা সম্ভব নয় বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও ওমিক্রন মাঝারি উপসর্গের জন্য দায়ী এবং ভ্যারিয়্যান্টের উপর কোনও ভ্যাকসিন কাজ করবে কিনা, এই বিষয় ও প্রশ্নের জবাবে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য এখনও বিশেষজ্ঞদের কাছে নেই বলে জানা যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট অফ হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের একটি মডেল অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে গোটা বিশ্বে মোট ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হবেন। যা গতবছর এপ্রিল মাসে ডেল্টা প্রজাতিতে আক্রান্তের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত এই মডেল আরও জানাচ্ছে, নভেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী কোভিড সংক্রমণ ২০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যাই তার মধ্যে বেশি। ওমিক্রনের ক্ষেত্রেই উপসর্গহীন আক্রান্ত বেশি ধরা পড়ছে বলেও জানানো হয়েছে গবেষণায়। মূলত ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ উপসর্গহীনরাই ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।