পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল থেকে রাজধানীতে এসেই বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ আহত হয়েছেন আরও দু’জন। গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে যাত্রাবাড়ির মাতুয়াইল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজে ফের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে রামপুরার আশপাশের বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
জানা গেছে, গতকাল সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাস ও সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষে নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- আব্দুর রহমান (৬৫), তার মেয়ে শারমিন আক্তার (৩৫) এবং শারমিনের স্বামী রিয়াজুল (৪৫)। আহত হয়েছেন শারমিনের মেয়ে বৃষ্টি আক্তার (৬) ও অটোরিকশার চালক রফিক (৪২)।
মৃত শারমিনের ভাই তানভীর জানান, তাদের বাড়ি বরিশাল উজিরপুরে। তার মা সাহেদা বেগম মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি। তার বাবা ও বোন বাড়ি থেকে ঢাকায় আসছিল মাকে দেখার জন্য। সকালে বরিশাল থেকে লঞ্চে সদরঘাটে আসেন।
যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আয়ান মাহমুদ দীপ জানান, একই পরিবারের চার সদস্য বরিশাল থেকে ভোরে লঞ্চে করে ঢাকায় আসেন। তারা সদরঘাট থেকে অটোরিকশায় মাতুয়াইলের বাসার উদ্দেশে রওনা হন। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে মাতুয়াইল এলাকাতেই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। তিনি আরও জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। দুজন চিকিৎসাধীন।
এদিকে দুর্ঘটনা ঘটার প্রায় তিন ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজে ফের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে রামপুরার আশপাশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠাসহ ১১ দফা দাবি গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের আলটিমেটাম দেওয়া ছিল। কিন্তু দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই আমরা আবার সড়কে। আমাদের দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলন শুরু করা হবে।
কর্মসূচির শুরুতে শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজের হাতিরঝিল অংশের এক পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ মানববন্ধন করেন। এ সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন পোস্টার তাঁদের হাতে ছিল। কর্মসূচি শেষে নিরাপদ সড়কের দাবি জানিয়ে সেøাগান দিতে দিতে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে চলে যান।
বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, একের পর এক সড়কে মৃত্যুর মিছিল চলতেই আছে। সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে, প্রশাসন কোনোভাবে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে পারছে না। তাই আমরা আবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে এসেছি।
খিলগাঁও মডেল কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ও কর্মসূচির মুখপাত্র সোহাগী সামিহা বলেন, আমরা ২০ দিনের বেশি সময় দেওয়ার পরও প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ দেখিনি। সড়কে সাংবাদিকরাও মারা যাচ্ছেন, দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা, ছোট ছোট শিশুরা, সড়কে দেশের মেধাবী সম্পদ পিষে মারা যাচ্ছে। শ্রমজীবীরা মারা যাচ্ছেন। এভাবে আমরা আর বসে থাকতে পারি না। তাই আমরা আবার সবাই সড়কে চলে এসেছি। সোহাগী সামিয়া আরও বলেন, পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে তারা আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করতে থাকবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।