Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা জয়ের পরও মস্তিষ্কে রেশ থাকে

৬ থেকে ৯ মাস ‘ব্রেন ফগ’ : গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আপনি সুস্থ হয়েছেন বেশি দিন হয়নি। করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর আপনার শরীরে আর কোনো উপসর্গ এ পর্যন্ত দেখা যায়নি। তার মানে আপনি মনে করছেন একেবারেই সুস্থ? রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন?
এমনটি যদি ভাবেন এবং বিশ্বে করোনা আসার আগের অবস্থার মতো স্বাভাবিক জীবনযাপনে চলে যান তাহলে মারাত্মক ভুল করবেন। করোনা থেকে মুক্ত এবং পুরোপুরি সুস্থ- আপনার এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। এর প্রধান কারণ হচ্ছে করোনাকে জয় করে বেঁচে আছেন ঠিকই। কিন্তু করোনার রেশ থেকে যাবে আপনার মস্তিষ্কে।
করোনা থেকে সুস্থতার সার্টিফিকেট মিলেছে চিকিৎসকদের কাছ থেকে। তারা করোনা পরীক্ষা করে ফলাফল নেগেটিভ জানিয়েছেন। কিন্তু এ পর্যায়ে সম্পূর্ণ সুস্থ এমন মনে করাটা বোকামি হবে। আর গবেষকরা এই কথা বলে সকল করোনা রোগেীদের সাবধান হতে পরামর্শ দিয়েছেন। গবেষকরা বলছেন, করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর থেকে নয় মাস পর্যন্ত স্মৃতিভ্রংশের শিকার হতে পারেন করোনা জয়ীরা।
সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্বববিদ্যালয়ের গবেষণার রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগ এবং ক্লিনিক্যাল নিউরোসায়েন্সেসের নিউফিল্ড বিভাগ যৌথভাবে গবেষণা চালিয়েছে। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন।
গবেষকরা বলেছেন তাদের গবেষণাকালে দেখতে পেয়েছেন, করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পরও আক্রান্তের মস্কিষ্কে রয়ে যাচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব। নেগেটিভ রিপোর্ট আসার নয় মাস পরও একজন আক্রান্তের স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
গবেষণা বলছে, করোনা থেকে সুস্থতার পর সর্বনিম্ন ছয় থেকে সর্বোচ্চ নয় মাস পর্যন্ত স্মৃতিবিভ্রম কিংবা মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটার মতো শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এই অবস্থাকে বলা হয় ব্রেন ফগ। দীর্ঘমেয়াদি করোনার প্রভাব হিসেবে এই রোগটিকেই মূলত চিহ্নিত করছেন গবেষকরা।
জানা গেছে, গবেষণার খাতিরে অংশগ্রহণকারীদের ব্রেন আইকিউ টেস্ট নেওয়া হয়। স্মৃতি কতটা ফিকে হয়ে আসছে, তা বোঝার জন্য নানারকম কাজ মনে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় সকলকে। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীই কোনও না কোনও সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গবেষণার সময় বেশিরভাগের মধ্যেই স্মৃতিবিভ্রাট, মনঃসংযোগ না থাকা ইত্যাদি লক্ষণগুলো দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি বিভাগের একজন চিকিৎসক ডা. সিজিয়া ঝাও বলেন, ‘বর্তমানে অধিকাংশ করোনায় আক্রান্ত রোগীই অ্যাসিম্পটোমেটিক। সে ক্ষেত্রে মাসের পর মাস স্মৃতিবিভ্রাটের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। অধ্যাপক মাসুদ হুসেইন বলেন, ‘ঠিক কী কারণে এই ধরণের পরিবর্তনগুলো একজন করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর শরীরে আসছে তা বোঝা যায়নি। তবে বেশিরভাগ করেনায় আক্রান্তদের মধ্যে এমন লক্ষণ দেখা গেছে। তাদের ছয় থেকে নয় মাস পর্যন্ত স্মৃতি বিভ্রাটি হচ্ছে। সূত্র : দ্য ন্যাশনাল, টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

Show all comments
  • Kamal Hossain ২২ জানুয়ারি, ২০২২, ১:৫০ এএম says : 0
    করোনা বা ওমিক্রন যেটাই হোক, আশার কথা যে বর্তমানে এর ভয়াবহতা কম কিন্তু বিস্তার বেশী। করোনা তার রূপ বদলাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এখন তা দুর্বল অবস্থায় পতিত। আল্লাহ না করুক যেন তা সক্রিয় না হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য বিধি মানা সবার জন্যই জরুরী। অনেকে স্বাস্থ্যবিধি না মানার জন্য বিভিন্ন অজুহাত পেশ করেন। এটা তাদের নিছক খামখেয়ালী এবং অলসতা ছাড়া কিছু নয়। কিন্তু তারা রোগে আক্রান্ত হলে ঠিকই হাসপাতালে এবং ডাক্তারের কাছে ভিড় করেন। গতবছরের ভয়াবহতার কথা ভোলার কথা নয়। আইসিইউ এবং অক্সিজেনের কত সংকট দেখা দিয়েছিল। মানুষ পথে-ঘাটে হেনস্থা হয়ে মারা গিয়েছে। এটার জন্য দায়ী ঐ সমস্ত গোয়ার্তুমি মার্কা লোক যারা নিজেরা ছড়িয়েছে কিন্তু অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা মারা গিয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Arman Hossain ২২ জানুয়ারি, ২০২২, ১:৫১ এএম says : 0
    আজকে ৩ দিন যাবত অনেক জ্বর, মাথা ব্যাথা, সারা শরীর ব্যাথা, ঔষুধ খেলে কমে কিছুক্ষন আবার আসে।হালকা হালকা গলা ব্যাথা।
    Total Reply(0) Reply
  • Ullah Asheq ২২ জানুয়ারি, ২০২২, ১:৫১ এএম says : 0
    ওমিক্রন হলো মৌসুমী ঠান্ডা কাশি,গলা ব্যাথা ও যতসামান্য জ্বর,
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ