Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইচ্ছাকৃত করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে শিল্পীর মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:১৭ এএম

চেক রিপাবলিকের একজন লোকগানের শিল্পী ইচ্ছাকৃত কোভিড সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন। তার ছেলে বিবিসিকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

৫৭ বছর বয়সী হানা হোরকা টিকাও নেননি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দিয়ে লিখেছেন যে তিনি সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এর দুদিন পরেই তিনি মারা যান। ছেলে জ্যান রেক বলেছেন, তিনি এবং তার বাবা করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হবার পর তার মা ইচ্ছাকৃত সংক্রমিত হয়েছিলেন, যাতে তিনি সুস্থ হবার পর বিভিন্ন জায়গায় তার যাতায়াতে সহজ হয়।

বুধবার চেক রিপাবলিকে রেকর্ড সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই সংগীত শিল্পীর স্বামী ও সন্তান টিকা গ্রহণ করেছেন এবং ক্রিসমাসের সময় তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মি. রেক জানান, তার মা তখন দূরত্ব বজায় না রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের সংস্পর্শে এসেছেন। "তিনি নিজেকে সপ্তাহ খানেকের জন্য আলাদা রাখতে পারতেন। কিন্তু সেটি না করে তিনি সারাক্ষণ আমাদের সাথে ছিলেন," বলেন মি.রেক।

চেক রিপাবলিকে সিনেমা হলে, বার এবং ক্যাফেসহ বিভিন্ন জায়গায় ঢুকতে হলে টিকা সনদ দেখাতে হয়। যদি সেটি না থাকে, তাহলে করোনায় আক্রান্ত হবার প্রমাণ দেখাতে হবে। মি. রেক বলেন, তার মা চেক রিপাবলিকের অন্যতম পুরনো একটি লোকগান দলের সদস্য। তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হতে চেয়েছিলেন, যাতে বিভিন্ন জায়গায় যাবার ক্ষেত্রে তার বিধি-নিষেধ কম থাকে।

মারা যাবার দুদিন আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, "আমি সুস্থ হয়ে যাচ্ছি। এখন থিয়েটার হবে, কনসার্ট হবে।" কিন্তু রবিবার রাতে তিনি মারা যান। বাইরে হাঁটতে যাবার জন্য তিনি যখন তৈরি হচ্ছিলেনম তখন আকস্মিকভাবে তার পিঠে ব্যথা শুরু হয়। একপর্যায়ে তিনি বেডরুমে শুয়ে পড়েন। "মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে সব শেষ হয়ে গেল। তিনি মারা গেলেন," বলেন তার ছেলে জ্যান রেক।

তিনি টিকা না নিলেও কোভিড-১৯ টিকাকে কেন্দ্র করে যেসব অদ্ভুত গুজব তৈরি হয়েছিল, সেগুলো তিনি বিশ্বাস করতেন না। "তিনি মনে করতেন টিকা নেবার চেয়ে আক্রান্ত হয়ে যাওয়া ভালো," বলেন সংগীত শিল্পীর ছেলে জন র‍্যাক। চেক রিপাবলিকের ৬৩ শতাংশ মানুষ টিকা গ্রহণ করেছেন। তবে ইউরোপের অন্যান্য দেশে গড়ে ৬৯ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছে। সূত্র: বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ